প্রতীকী ছবি।
রবিবার ভোট রাজ্যের সাত পুরসভায়। সাত জায়গাতেই ভোটারদের ভয় দেখানো, বহিরাগতদের দাপট, বাইক বাহিনীর সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন সফরে বেরিয়ে সেই অভিযোগ শুনে এসেছেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। উদ্বিগ্ন কমিশনার কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।
গত ৩ থেকে ১০ মে সাত পুরসভায় সফর করেছেন অমরেন্দ্রবাবু। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি স্থানে রাতে বহিরাগতরা বাইকে চড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। নির্দিষ্ট কাউকে ভোট না-দিলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও পেয়েছি।’’ ভোটের দিন অশান্তি এড়াতে চার দফা সতর্কতা জারি করেছেন কমিশনার। যে চার জেলার ভোট হচ্ছে তাদের পুলিশকে তাঁর নির্দেশ— ভোটাররা যেন বুথে আসতে বাধা না পান, কোথাও যেন বুথ জ্যাম না হয়, বুথ দখলের কোনও অভিযোগ যেন না ওঠে, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের আটকে রাখা বা বুথে বসতে না-দেওয়ার অভিযোগ যেন না ওঠে। এ সব অভিযোগ উঠলে পুলিশের উপরই তার দায় বর্তাবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অমরেন্দ্রবাবু।
আরও পড়ুন:দিল্লির ভয়ে মমতা চুপ থাকবেন না
হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কমিশনার সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন ডোমকল, রায়গঞ্জ এবং পূজালি পুরসভা থেকে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলি নয়, বহিরাগত বাইক বাহিনীর দাপটের অভিযোগ সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও বিস্তর পেয়েছেন তিনি। তাই ভোটের দিন উলুবেড়িয়া থেকে গঙ্গা পেরিয়ে বহিরাগতরা যাতে পূজালিতে ঢুকতে না-পারে সে জন্য ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি, আজ শুক্রবার থেকেই মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে ডোমকলে ক্যাম্প করে থাকতে বলেছেন কমিশনার।
অমরেন্দ্রবাবু জানান, পাহাড়ের চার পুরসভায় হুমকির চেয়েও প্রচার নিয়ে অভিযোগ বেশি। ‘বাংলার দাসত্ব থেকে মুক্তি চাই’— এমন আপত্তিকর পোস্টার দিয়েছে মোর্চা। তিনি বলেন, পাহাড়ে ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে মোতায়েন করা হবে। রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বুথে থাকবে। রাজ্যের অন্যত্র প্রতি বুথে দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশ এবং দু’জন হোমগার্ড বা এনভিএফ কর্মী থাকবেন। প্রতি বুথেই হয় সিসিটিভি অথবা ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অমরেন্দ্রবাবুর কথায়, ‘‘অবাধ ভোটের ব্যবস্থা যে করা হচ্ছে, ভোটারদের মধ্যে সেই আস্থা জাগানো কমিশনের কাজ। কমিশন সেই চেষ্টা করছে।’’
তবে কমিশনের হম্বিতম্বি নিয়ে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘উনি নখদন্তহীন বাঘ। আদালতের নির্দেশে এ সব বলছেন। আর পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করছে।’’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘ভোট কেমন হয় সেটা দেখেই কমিশনকে সার্টিফিকেট দেব।’’ আর তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাউকে ভয় দেখাতে হয় না। সবাই যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে সেই দাবি আমাদেরও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy