Advertisement
০৩ মে ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

হাই কোর্টের নির্দেশের পর কী করবে নির্বাচন কমিশন? অল্প কথায় জবাব দিলেন রাজীব সিংহ

বুধবার হাই কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। কমিশনারকেও কড়া কথা শুনিয়েছে আদালত। তার পর কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে, রাজীব সিংহকে সেই প্রশ্ন করা হয়।

Election Commissioner Rajiv Sinha says he has not got High Court order yet.

রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ২১:৫৩
Share: Save:

রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে ভর্ৎসিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনার রাজীব সিংহকে উদ্দেশ্য করেও কড়া কথা শুনিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এ বার কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে? বুধবার নিজের দফতর থেকে বেরিয়ে সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন রাজীব। তবে জবাব দিলেন অল্প কথায়।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বেরোনোর সময় রাজীবকে সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয়, হাই কোর্ট বুধবার যে নির্দেশ দিয়েছে, তার ভিত্তিতে কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে? এ বার কী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন? তার উত্তরে রাজীব বলেন, ‘‘হাই কোর্টের নির্দেশ এখনও আমরা পাইনি। আমি সেটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। নির্দেশ আসুক। তার পর তা ভাল করে পড়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

হাই কোর্টে ভর্ৎসনার দিনে বেশি প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি রাজীব। এইটুকু বলেই তিনি গাড়িতে উঠে পড়েন। কমিশন এর পর আবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে কি না, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে আসবে, ইত্যাদি প্রশ্নগুলি শুনেও তিনি উত্তর দেননি।

গত ১৩ জুন কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কথা ভাবতে বলে নির্বাচন কমিশনকে। এর পরে ১৫ জুনের নির্দেশে বলা হয় গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। বাহিনী আনতে কেন্দ্রের কাছে আবেদনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় আদালত। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখার কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।

বিরোধীদের দাবি, ২২ জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী যথেষ্ট নয়। ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অর্থ মেরেকেটে ২০০০ জওয়ানের উপস্থিতি। বিরোধীদের মতে যা থাকা আর না থাকায় কোনও তফাৎ নেই। কম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়সীমা মানা হয়নি বলে আদালত অবমাননার অভিযোগও ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করুন।’’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘কমিশনার যদি না পারেন তা হলে রাজ্যপালের কাছে যান। তিনি অন্য কাউকে নিয়ে আসবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। এখান থেকে এগুলো আশা করা যায় না। এত ঘটনার পরে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’

২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেছেন, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্যও ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE