জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছে ৪২৫ জনকে। অথচ গোটা জেলায় শূন্যপদের সংখ্যা সাকুল্যে ৬৮। দাড়িভিট কাণ্ডের পরে প্রশাসনিক স্তরে নাড়াচাড়া পড়তেই উত্তর দিনাজপুর জেলার এই ছবি উঠে আসে। জেলার শিক্ষা মহলে এত দিন ধরে একটাই প্রশ্ন ঘুরেছে, এই বাড়তি শিক্ষককুলকে নিয়ে কী করা হবে? জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাড়তি শিক্ষকদের একাংশকে এসএমএস পাঠিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনে ডাকা হচ্ছে। তার পরে অন্য জেলার স্কুলে যোগ দিতে নতুন ‘রেকমেন্ডেশনের’ চিঠি ধরানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ফেরানো হচ্ছে পুরনো ‘রেকমেন্ডশনের’ চিঠি। এ ভাবে দু’সপ্তাহে প্রায় দু’শো জন শিক্ষককে এমন চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর শিক্ষা দফতরের সূত্রে।
১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দফতর থেকে নতুনদের নিয়োগপত্র দিলে তা নিয়ে জেলায় স্কুলগুলিতে যোগাযোগ করেন তাঁরা। তখনই দেখা যায়, অধিকাংশ স্কুলে নিয়োগ অনুসারে শূন্যপদই নেই। এর পর স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে স্কুলগুলিতে মাধ্যমিকস্তরের শিক্ষকের শূন্যপদের একাংশ ‘কনভার্সন’ করে ওই শিক্ষকদের নিয়োগ শুরু হয়। কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট কাণ্ডের পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই ‘কনভার্সন’ পদ্ধতিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা।
নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একাংশ জানান, সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার ওই নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের এসএমএস পাঠিয়ে ডেকে অন্য স্কুলে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্য জেলার যে সব নতুন শিক্ষককে এই জেলায় নিয়োগ করা হয়েছিল, আপাতত তাঁদেরই ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। তবে কাউন্সেলিং না হওয়ায় বা আর্জি না শোনায় কিছু শিক্ষক বিপাকে পড়েছেন। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকমহলে। বিষয়টি নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক সুজিত মাইতিকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy