তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে পাওনাগন্ডা না মেটানোর যে অভিযোগ তুলে কল্যাণী আদালতে মামলা হয়েছে, তা উড়িয়ে দিলেন অভিনেতা তথা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যে সংস্থাটিকে তিনি বরাত দিয়েছিলেন, তার মালিক নাসিরুদ্দিন মণ্ডল চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্য টাকা পেয়ে গিয়েছেন। নাসিরুদ্দিন লিখিত ভাবেই তা জানিয়েছেন। যে চেক বাউন্স করেছিল, সেটির টাকাও নেটব্যাঙ্কিং মারফত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরেও কল্যাণী আদালতের আইনজীবী বদ্রীনারায়ণ অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শনিবার হিরণ বলেন, ‘‘প্রতারণার ব্যাপারই নেই। ওই আইনজীবী মিথ্যা মামলা করেছেন। গত সেপ্টেম্বর থেকে উনি আমায় ফোন করে, এসএমএস করে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে গিয়েছেন।’’ বদ্রীবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযোগ যখন আমি করেছি, তখন আদালতে তা প্রমাণের দায়ও আমার। হিরণের যদি আমার বিরুদ্ধে পাল্টা কোনও অভিযোগ থাকে তবে তাঁকেও তা আদালতে প্রমাণ করতে হবে।’’
আরও পড়ুন:কংগ্রেস জুজু দেখিয়ে সেনার চাপ বিজেপিকে
হিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি তিনি পাওনাদারের অফিসে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। অথচ সে দিন মেলার অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বীরভূমে ছিলেন বলে হিরণ জানান। বদ্রীবাবুর দাবি, শুক্রবার হিরণ কল্যাণী আদালতে বিচারক সন্দীপ কুণ্ডুর এজলাসে আগাম জামিনের আবেদন করতে গিয়েছিলেন। তবে হিরণের বক্তব্য, সোমবার মামলার শুনানি থাকলেও সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কথা বলতে তাঁকে ভুবনেশ্বর যেতে হচ্ছে। সেটাই তিনি আদালতে জানাতে গিয়েছিলেন। তাঁর নামে যেহেতু সমন জারি হয়নি, তাই আগাম জামিন চাওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy