প্রতীকী ছবি।
প্রায় মাসখানেক ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গ্রিন বিল্ডিংয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বছর আটান্নর অঞ্জলি দাস। তাঁর দু’দফায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবু মায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ কিনা তা এক মাসেও মেয়েদের জানাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ!
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দেওয়ার আগে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা। সপ্তাহ ঘুরতে গেলেও পরীক্ষার ফল জানতে পারেননি অসহায় বাবা। সরকারি কোভিড হাসপাতালের নতুন বিড়ম্বনা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি!
জরুরি বিভাগে আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা পেতে কী ভাবে অপেক্ষার করতে হচ্ছে, গত সপ্তাহে সেই ছবি সামনে এসেছিল। এ দিন জরুরি বিভাগে সেই প্রক্রিয়া অনেক মসৃণ হয়েছে বলে রোগীর পরিজনেরা জানিয়েছেন। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে একের পর এক অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে সুপারের অফিসের সামনে দুপুরে বিক্ষোভ দেখান কিছু রোগীর পরিজন।
এমনই এক রোগিণীর মেয়ে মৌসুমি সাধুখাঁর বক্তব্য, ‘‘চোদ্দো দিনের মধ্যে এমনি রোগীদের ছেড়ে দেওয়ার কথা। আমার মা একমাস ধরে করোনা রোগীদের মধ্যে রয়েছেন। এতদিনেও মা পজ়িটিভ না নেগেটিভ জানতে পারলাম না! কী রোগের চিকিৎসা হচ্ছে সেটাই তো বুঝছি না? রিপোর্টে ভিত্তিতে মা’কে ছেড়ে দিলে একটা শয্যাও তো খালি হতো!’’
রক্তের অসুখে আক্রান্ত আট বছরের সোমা দেবনাথের বাবা সুকুমার দেবনাথ বলেন, ‘‘মেয়ের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছয় হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট না-পেলে রক্ত দিতে পারছি না। মেয়ে তো এবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়বে!’’ রোগীদের পরিজনদের একাংশ জানান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বক্তব্য, রিপোর্টের প্রতিলিপি ই-মেলে সুপারের অফিসে চলে গিয়েছে। সেখান থেকে প্রিন্ট আউট দিলে এসএসবি ব্লক থেকে রিপোর্ট সংগহ করতে হবে। কিন্তু সুপারের অফিস থেকে প্রিন্ট আউট এসএসবিব্লকে পৌঁছয়নি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘ই-মেলে রিপোর্ট আসার পরে তার প্রতিলিপি এখান থেকেই এসএসবি ব্লকে যাওয়ার কথা। কেন রোগীরা রিপোর্ট পাচ্ছেন না, তা দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy