শিবিরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের খিচুড়ি খাওয়ানোর আয়োজন। নিজস্ব চিত্র
আগেই ব্লকে ব্লকে গিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতারা জানিয়েছিলেন, মেদিনীপুরে দলের সভায় খাবারের ব্যবস্থা করবে দল। সঙ্গে শুধু নিয়ে যেতে হবে ছাতা। কথা মতো শনিবার মেদিনীপুরে দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। কোথাও খিচুড়ি, কোথাও সাদা ভাত-তরকারি, কোথাও আবার খাওয়ানো হল চিঁড়ে বা মুড়ি।
জেলা তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে মেদিনীপুর শহরে ঢোকার বিভিন্ন এলাকায় শিবির করা হয়েছিল। শুক্রবার রাত থেকেই শিবিরগুলোর সামনে রান্না শুরু হয়েছিল। সভায় আসা কর্মী-সমর্থকদের শনিবার সেখানেই খাওয়ানো হয়। অনেকে সকালে শহরে এসে আগে শিবিরে খেয়ে পরে সভায় আসেন। খাওয়ানোর জন্য তো খরচ হয়েছে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “দলকে কেন্দ্রীয় ভাবে সেই ভাবে খরচ করতে হয়নি। যে সব এলাকায় শিবিরগুলো হয়েছে সেখানে স্থানীয় কর্মীরাই চিঁড়ে- মুড়ি বা চাল-ডাল-আনাজ দিয়েছেন। রান্নাও তাঁরাই করেছেন।” শিবিরগুলোয় ছিল জলের পাউচও। যে মাঠে সভা করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, সেই মাঠেই শনিবার সভা করেছে তৃণমূল। কলেজ মাঠেও খাওয়ানোর ব্যবস্থা ছিল। মেনুতে ছিল সাদা ভাত আর মুরগির মাংস। শনিবার কয়েকটি শিবিরেও ভাত-মাংস খাওয়ানো হয়েছে। মেদিনীপুরে ঢোকার জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ মোড় রয়েছে, সবক’টির আশেপাশেই শিবিরেই তৈরি করা হয়েছিল।
জেলায় দলের কোনও সভা ঘিরে আগে কখনও এমন আয়োজন হয়নি বলে মানছেন তৃণমূলের নেতারা। জমায়েতেও বিজেপিকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, “এত খাইয়েও তো ওরা মাঠ ভরাতে পারল না! খাওয়ানোর টোপ দেখিয়ে কি লোক টানা যায়!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy