বুধবার রাতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে এসেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।
উদয়ন গুহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কোচবিহারের দিনহাটায় দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার রাস্তায় হাঁটল ফরওয়ার্ড ব্লক। বৃহস্পতিবার মাহেশ্বরীভবন হলে দলের রাজ্য নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়, হাফিজ আলম সৈরানিরা বারবারই বিঁধেছেন সদ্য ফব ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক উদয়নকে। বলেছেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে দিনহাটা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লককে মুছে দেখান।’’ সম্প্রতি ফব-র কোচবিহার জেলা সম্পাদক এবং দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন উদয়ন। ১ অক্টোবর তাঁকে সাদরে তৃণমূলে বরণ করে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই শাসক দলের হয়ে ফব-র কার্যালয় দখল, ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে উদয়ন ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
ফব সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে দিনহাটায় দলের অবস্থা কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন নেতারা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এ দিন হয়তো হল ভরবে না। কার্যত এ দিন হল উপচে ভিড় হয়েছে। নেতাদের স্বস্তির আর এক কারণ— দলের জেলা স্তরের কোনও নেতা দিনহাটার বিধায়ক উদয়নের সঙ্গে শাসক দলে যাননি।
সভায় নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভেবেছিলাম, কমল গুহের রক্ত উদয়নবাবুর শরীরে রয়েছে। বেইমানি করবেন না। ভাবনাটা ভুল ছিল।” সৈরানির কটাক্ষ, ‘‘দম থাকলে দিনহাটার সংহতি ময়দানে সভা করে হাজার-হাজার লোক নিয়ে তৃণমূলে যেতেন। চুপিচুপি গেলেন কেন?’’
উদয়নকে ‘শিক্ষা দিতে’ কর্মীদের লড়াইয়ে নামার ডাক দিয়েছেন ফব নেতৃত্ব। আপাতত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলারই আর এক বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুরকে। অক্ষয়বাবুর দাবি, ‘‘২০০৫-এ উদয়নবাবুর দলে আসার পিছনে নেহাত ব্যবসায়িক স্বার্থ ছিল। সে সময় বামফ্রন্ট ক্ষমতায়। ফ্রন্ট-শরিক দলের নেতার ছেলে হওয়ার সুবিধাটা নিতে চেয়েছিলেন উনি।’’
উদয়নবাবু অবশ্য বলেন, “১৯৯২ সালে কমল গুহের সঙ্গে বেইমানি হয়েছিল। দল ছেড়ে সমাজতান্ত্রিক ফরওয়ার্ড ব্লক গড়তে হয়েছিল তাঁকে। সে বেইমানির কৈফিয়ত কে দেবে? ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy