প্রতীকী ছবি।
অনুষ্ঠান-বাড়ির সামনেই রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কয়েক জন বরযাত্রী। দেখতে পাচ্ছিলেন, দূর থেকে তীব্র গতিতে এগিয়ে আসছে একটি ট্রেলার। কিন্তু কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা হুড়মুড়িয়ে মালবোঝাই সেই ট্রেলার উঠে গেল অপেক্ষারত বরযাত্রীদের উপরে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড়ে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বরযাত্রী আসা দুই কিশোর সহ এক যুবক ও মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তির। আহত হয়েছেন আরও আট জন। মৃতেরা হলেন আশাহার রুস্তম (১২), আয়ান রুস্তম (৯)। এরা দুই ভাই। এ ছাড়াও মারা গিয়েছেন সাফাদার হুসেন (২৪) ও তাঁর বাবা মুবারক আব্দুল (৪৪)। পুলিশ ট্রেলারটিকে আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
পুলিশ সূত্রের খবর, টিটাগড় বাজারের কাছে বিটি রোডের উপরে একটি অনুষ্ঠান-বাড়িতে এসেছিল বরযাত্রীদের ওই দলটি। রাত আড়াইটে নাগাদ অনুষ্ঠান বাড়িটির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক জন। আগের দু’টি বাস ভর্তি হয়ে যাওয়ায় পরের বাস আসার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। সে সময়েই আচমকা ব্যারাকপুরের দিক থেকে ছুটে আসা ১৬ টাকার ট্রেলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাঁ দিকে ঘুরে ওই বরযাত্রীদের উপরে আছড়ে পড়ে। বিকট আওয়াজ ও চিৎকার-চেঁচামেচিতে বেরিয়ে আসেন বিয়েবাড়ির লোকজন। ট্রেলারের ধাক্কায় সকলেই কম-বেশি জখম হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাওড়ার বাজেশিবপুরের বাসিন্দা আশাহার ও আয়ানের। তাদের বাবা মহম্মদ রুস্তমকে প্রথমে বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে হাওড়ার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম, পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা মুবারক ও সাফাদারকে বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকিদের রাতে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, মহম্মদ রুস্তম ও মুবারক আব্দুলের বড় ভায়রা মহম্মদ কাশেমের ছেলের বিয়েতে সকলে বরযাত্রী এসেছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, তীব্র গতিতে আসার সময়ে কোনও ভাবে ট্রেলারটির স্টিয়ারিং কেটে গিয়েই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। যার ফলে ঘটে বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy