প্রবল চাপের মুখে দুঃখপ্রকাশ করলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। প্রকাশ্য জনসভায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মাল’ সম্বোধন করেছিলেন গৌতমবাবু। গতকাল অর্থাৎ রবিবার গৌতম দেবের এই মন্তব্যের খবর ছড়াতেই তীব্র নিন্দা শুরু হয় বিভিন্ন শিবির থেকে। তাঁর নিজের দল সিপিএমেও সমালোচনার মুখে পড়েন গৌতম। ঘরে-বাইরে এই সমালোচনার মুখে পড়ে সোমবার তিনি প্রকাশ্যেই দুঃখপ্রকাশ করলেন।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতমবাবু সোমবার লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘রবিবার ছাত্রনেতা শহিদ কমরেড সুদীপ্ত গুপ্তের স্মরণে আয়োজিত সভায় আমি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নানা বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে দু-একটি কথা বলেছি, যা ব্যক্তি-আক্রমণের সমতুল। আমার এ ধরনের ব্যক্তি-আক্রমণ করার উদ্দেশ্য ছিল না। এ জন্য আমি দুঃখিত’। দলীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র শহরে ফিরে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেন। নেতাজিনগরের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনিও গোটা বক্তব্য সম্পর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট দেন। জনমানসে অত্যন্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এই বার্তা আলিমুদ্দিনের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতমবাবুকে। তার পরেই তাঁর বিবৃতি।
আরও পড়ুন: মমতাকে কুকথা, বিতর্কে সিপিএম নেতা গৌতম দেব
এর আগে তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন বিমানবাবু। প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসুকে কুৎসিত মন্তব্যের দায়ে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেছিল দল। তবে এ বার গৌতম দেবের ক্ষমা চাওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে সিপিএমের মধ্যেই মতভেদ ছিল। কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধরে রাখার স্বার্থে গৌতমবাবুকে ভর্ৎসনা না করারই পক্ষপাতী ছিল দলের একাংশ। কিন্তু চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত দুঃখপ্রকাশই করতে হয়েছে তাঁকে।
সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, ভুল করলে ক্ষমা চাওয়ায় কোনও অমর্যাদা নেই। কিন্তু তাপস পাল, সোনালি গুহ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা ইদ্রিশ আলিদের জন্য তৃণমূল কখনও এই পন্থা নেবে কি? প্রশ্ন সিপিএমের।