তাঁরা শল্য চিকিৎসক বা নার্স নন। তাঁরা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।
অথচ তাঁরাই দুর্ঘটনায় জখম রোগীদের সেলাইয়ের কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এই হাসপাতালে ৬ জন ৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দিনের পর দিন এমন ভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রায়গঞ্জের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র গোপাল রবিদাস স্কুলে পড়ে যায়। রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার বাসিন্দা ওই বালকের কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গোপালকে রক্তাক্ত অবস্থায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিত্সকের পরামর্শে ওই বালককে দিলীপকুমার দাস নামে অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পাশের একটি ঘরে নিয়ে যান। দিলীপবাবুই গোপালের কপালের ক্ষত পরিষ্কার করেন। পরে সেলাই করে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন। এর পর চিকিৎসক কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে ওই বালককে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিশ্রামে রাখার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এই কাজ করলেন কেন? দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের সেলাই ও ব্যান্ডেজের প্রশিক্ষণ রয়েছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগে আসা জখম রোগীদের সেলাই ও ব্যান্ডেজ বাঁধার কাজ করে থাকি।’’
চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা যে রোগীদের সেলাই ও ব্যান্ডেজের কাজ করেন তা মেনে নিয়েছেন হাসপাতাল সুপার অনুপ হাজরা। তাঁর দাবি, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত একজন চিকিত্সকের পক্ষে জরুরি বিভাগ ও প্রয়োজনে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী দেখে সেলাইয়ের কাজ করার সময় পান না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা নিয়ম মতো সেলাইয়ের কাজ করতে পারেন না। কিন্তু চিকিৎসকের অভাব থাকায় আমরা তাঁদের বহুদিন আগেই সেলাই ও ব্যান্ডেজের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’’