নারদ কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নারদ কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তদন্ত অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর শুক্রবার পুলিশি তদন্তের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলাকালীন রাজ্য প্রশাসন সমান্তরাল তদন্ত শুরু করল কেন? প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নারদ কাণ্ড নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন যেন কোনও তদন্ত না করে, নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
নারদ নিউজের স্টিং ভিডিও-র অসম্পাদিত ফুটেজ হাইকোর্ট আগেই হেফাজতে নিয়েছে। সেই ফুটেজের ফরেনসিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তার মধ্যেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে কলকাতা পুলিশ সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কেন এতে হস্তক্ষেপ করছে, আগেই প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের তাতেও টনক নড়েনি। শুক্রবার কড়া পদক্ষেপ নিলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘হাইকোর্ট যেখানে তদন্ত করাচ্ছে, সেখানে পুলিশের সমান্তরাল তদন্ত চালানোর দরকার নেই। আমি চাই না, এই ব্যাপারে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করুক।’’ ১৯ অগস্ট ফের এই মামলার বিষয়ে শুনানি হবে। তত দিন পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে। অর্থাৎ ১৯ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের পুলিশ বা প্রশাসন নারদ কাণ্ডের তদন্তে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
নারদ নিউজের স্টিং ভিডিও-র অসম্পাদিত ফুটেজ চণ্ডীগড়ের যে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল, সেই ল্যাব রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমাও পড়েছে। প্রধান বিচারপতি রিপোর্ট পড়ে দেখার পর এ দিন জানান, ফরেনসিক রিপোর্টে ইতিবাচকের পাশাপাশি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। তাই মামলার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষেরই এই রিপোর্ট পড়ে দেখা উচিত। তার পরেই ফরেনসিক রিপোর্ট নিয়ে শুনানি হবে বলে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘সিবিআই না পারলে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক আমি খুঁজে দেব’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy