E-Paper

অনার্স, ভর্তির সিদ্ধান্ত হতে পারে পরের সপ্তাহে: ব্রাত্য

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘৪ বছরের স্নাতক এবং কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ ধাপের আলোচনা বাকি। সবুজ সঙ্কেত পেলেই জানাব।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ০৬:৫৬
Bratya Basu

ফাইল চিত্র।

চূড়ান্ত আলোচনা বাকি। তবে কলেজে ভর্তি নিয়ে চিন্তিত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের কিছুটা আশ্বস্ত করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী স্নাতকে চার বছরের অনার্স পাঠ্যক্রম চালু এবং স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে অভিন্ন পোর্টালে ভর্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে জানাতে পারে উচ্চশিক্ষা দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘৪ বছরের স্নাতক এবং কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ ধাপের আলোচনা বাকি। সবুজ সঙ্কেত পেলেই জানাব।’’

কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সব অস্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছেন তাঁরা। সার্চ বা সন্ধান কমিটি সংক্রান্ত নতুন অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ অনুযায়ী সন্ধান কমিটিতে পাঁচ সদস্য থাকবেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিও। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রতিনিধিদের নাম পাঠাবেন। অতঃপর রাজ্যপালের প্রতিনিধিদের নামের অপেক্ষায় থাকবেন তাঁরা। সব প্রতিনিধির নাম এলেই কাজ শুরু হবে। ব্রাত্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ডিন বাছাইয়ের জন্য রাজ্যপালের প্রতিনিধির নাম পাচ্ছেন না তাঁরা।

রাজ্যপাল যে-ভাবে নিজের মতো উপাচার্য মনোনীত করছেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের সাপ্তাহিক রিপোর্ট না-পাঠানোয় উপাচার্যদের ‘শো-কজ়’ বা কারণ দর্শানোর চিঠি দিচ্ছেন, সেই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমরা আইনি পরামর্শ নেব, স্থির করেছি। তবে মাননীয় আচার্যের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চাইছি। তাঁর সঙ্গে সদর্থক বৈঠক চাইছি। কিন্তু তিনি একক ভাবে করতে চাইছেন। সেটা আইনসঙ্গত কি না, সেটাই দেখার।’’ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা রাজভবনে সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। ‘‘এই বিষয়ে আমরা ধোঁয়াশায় আছি,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bratya Basu National Education Policy NEP College admission

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy