Advertisement
E-Paper

আরও ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলল শৈলেশের

মঙ্গলবার বিকেলে শৈলেশের স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে কম্পিউটার, বেশ কিছু সংস্থার স্ট্যাম্প এবং ব্যাঙ্কের পাসবই ও চেকবই পাওয়া গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০৭:২৯
উদ্ধার নগদ টাকা। —নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার নগদ টাকা। —নিজস্ব চিত্র। ফাইল চিত্র।

হাওড়ায় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডের আরও ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে মিলল নতুন করে আরও ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস। সব মিলিয়ে অনলাইন এই প্রতারণার অঙ্ক ১০০ কোটি টাকা ছাড়াল। এই গোটা ঘটনায় শৈলেশ ছাড়া আরও কেউ যুক্ত আছেন কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

মঙ্গলবার বিকেলে শৈলেশের স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে কম্পিউটার, বেশ কিছু সংস্থার স্ট্যাম্প এবং ব্যাঙ্কের পাসবই ও চেকবই পাওয়া গিয়েছে। তবে, নগদ প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ-সহ বাকিদের হদিস এখনও পায়নি পুলিশ।

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে হদিস পাওয়া শৈলেশের এই ১৭টি অ্যাকাউন্ট ছিল একটি ব্যাঙ্কেরই নরেন্দ্রপুর শাখায়। চলতি বছরেই সেই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। প্রতিটি অ্যাকাউন্টই ভুয়ো নথি দিয়ে খোলা হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের নথি জামশেদপুরের এক বাসিন্দার বলে খবর। তবে, প্রতিটি অ্যাকাউন্টেরই ‘ইন্ট্রোডিউসর’ হিসাবে নাম ছিল শৈলেশের। ওই ১৭টি অ্যাকাউন্টের ছ’টিতে ইতিমধ্যেই আরও ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বাকি ১১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখলে এই অঙ্ক বাড়তে পারে বলেও অনুমান পুলিশের। সেই সঙ্গে আরও কোনও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শিবপুরের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট ও গাড়ি থেকে নগদ আট কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অনলাইনে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা সংক্রান্ত পাঠের নামে প্রতারণা-চক্র চালানোর হদিস পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে, এই গোটা চক্রের পিছনে শুধু শৈলেশ ও তাঁর দুই ভাই যুক্ত ছিলেন, না কি অন্য কেউও ছিলেন, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি, অভিযুক্ত শৈলেশ আদৌ পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক মাস আগে শৈলেশের স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেই অভিযানেও মোটা টাকার হদিস মিলেছিল বলে পুলিশি সূত্রের খবর। সেই অভিযানের পরেই বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে দিয়ে নতুন এই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন শুরু করা হয়েছিল বলেমনে করছেন তদন্তকারীরা। শুধু তা-ই নয়, অনলাইনে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা সংক্রান্ত পাঠ এবং আয়ের সুযোগ করে দেওয়ার নামেও ভিন্ দেশের একাধিক জায়গা থেকে ফোন করা হয়েছিল বলে পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘গোটা এই প্রতারণা-চক্রে শৈলেশের সঙ্গে আরও কেউ আছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে।’’

Howrah Cash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy