‘আলোর শহর’ চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের জন্য রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিমতো ‘আলো হাব’ তৈরি করে দিয়েছে। স্টেশন সংলগ্ন কেএমডিএ পার্কে তৈরি ওই প্রকল্পের উদ্বোধন হয় পাঁচ মাস আগে। কিন্তু একটি দোকানও বিক্রি হয়নি। ফলে, ওই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আলোকশিল্পীরা জানান, ওই হাবে দোকানঘর পেতে তাঁদের এককালীন নগদ টাকা দিতে হবে। সেইসঙ্গে মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচও চাওয়া হয়েছে সরকারি তরফে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। এই মুহূর্তে টাকা দিয়ে ঘর নেওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। এ নিয়ে বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন তাঁরা। তাঁদের অনুরোধে বিধায়ক টাকার পরিমাণ কিছুটা কমিয়েছেনও। তা সত্ত্বেও এখনও ওখানে দোকান নেওয়ার পরিস্থিতি নেই।
চন্দননগরের পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে ওই প্রকল্পের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। উদ্বোধন হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রকল্পটি চালু হয়নি। প্রকল্পটি চালু হলে আলোকশিল্পী ও তাঁদের নতুন প্রজন্ম উপকৃত হবে।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট দফতরকে অনুরোধ করেছি আলোকশিল্পীদের সমস্যা নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসতে। আমি আশাবাদী, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে।’’ মহকুমাশাসক (চন্দননগর) অয়ন দত্তগুপ্ত বলেন, ‘‘খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’