শ্যামপুরের নওদা নয়নচাঁদ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের আনাজ-বাগান।
রাজ্যের প্রাথমিক ও হাই স্কুলগুলিতে আনাজ-বাগান (কিচেন গার্ডেন) করার জন্য টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বশিক্ষা মিশন। সেই মতো হাওড়া জেলায় হাই স্কুলগুলিতে তৎপরতা শুরু হলেও প্রাথমিকে তা এখনও ততটা নেই। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মিড-ডে মিলে আনাজের জোগান যাতে অব্যাহত থাকে, সেই কারণেই এই প্রকল্পে স্কুলগুলিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
তবে, সব স্কুল এই প্রকল্পে সুবিধা পাবে না। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যে সব স্কুলের নিজস্ব জমি আছে, সেই স্কুলগুলিকেই বাগান করতে টাকা দেওয়া হবে। বাগান তৈরির জন্য স্কুলকে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে হবে। তাতে জমির আয়তন বর্ণনা করতে হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ওই স্কুলকে টাকা দেবে ব্লক প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রকল্পটি চালু হয়েছে। জেলার অনেক স্কুল বাগান তৈরি করে আনাজ চাষ করছে। তাতে মিড-ডে মিলে আনাজ বাবদ খরচ কমেছে।
শ্যামপুরের নওদা নয়নচাদ বিদ্যাপীঠ এই প্রকল্পে আনাজ-বাগান তৈরি করেছে। প্রধান শিক্ষক অরুণাংশু বাজানি বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের জমি আছে। সেখানে আমরা সরকারি টাকায় আনাজ বাগান করেছি। মিড-ডে মিলে সেই আনাজ কাজে লাগে।’’
তবে, প্রাথমিক স্কুলে সেই উৎসাহ ততটা না-থাকা নিয়ে জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রাথমিক স্কুলগুলির অধিকাংশের নিজস্ব পর্যাপ্ত জমি নেই। যাঁদের আছে তাঁরা এ ব্যাপারেখুব উৎসাহী।’’
জেলা পরিষদের শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শ্রীধর মণ্ডল বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলে স্কুলের বাগানের আনাজ ব্যবহার করা হলে বাজার থেকে কেনার খরচ কমে। পড়ুয়ারাও টাটকা আনাজ পেতে পারে। সেই উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি করা হয়েছে। এটি বেশ উপযোগী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy