—প্রতীকী চিত্র।
প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের যত্ন নিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ‘মেটারনিটি হাব’ তৈরি
হচ্ছে হাওড়ায়। এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা পরিষদ পৃথক ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। জেলা পরিষদের তরফে ১৪টি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায় এই কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির জন্য ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, প্রসবযন্ত্রণা উঠলেও সরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাবে অনেক সময়ে ভর্তি করা যায় না। অথবা, প্রসবের আগে জটিলতা দেখা দিলে অন্ত:সত্ত্বাকে ভর্তি রেখে নজরদারি করতে পারেন না চিকিৎসকেরা। এই সব সমস্যা মেটাতেই হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন হাসপাতাল ভবন সংস্কারের পাশাপাশি
প্রসূতিদের জন্য আলাদা বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এমন কয়েকটি কেন্দ্র, স্বাস্থ্য দফতরের টাকায় সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই করা হবে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত বলেন, ‘‘সদ্যোজাত ও প্রসূতিদের সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখে চিকিৎসা করার জন্য মাতৃত্ব কেন্দ্রের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মা যাতে সদ্যোজাতদের স্তন্যপান করাতে পারেন, সে জন্য পৃথক ঘর ও আধুনিক শৌচাগার হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে এই কেন্দ্র তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরে জায়গা না মেলায় তার অধীনে একটি কেন্দ্র করতে জায়গা দেখা হচ্ছে।’’
মেটারনিটি হাব তৈরির বিষয়ে বুধবারই জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক-একটি কেন্দ্র তারা করে দেবে। কিন্তু ১৪টি মেটারনিটি হাব পরিচালনা করবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই সব কেন্দ্রে চিকিৎসক, প্রসবের ব্যবস্থা ও সদ্যোজাতদের রাখার ব্যবস্থাও করবে তারাই।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল, যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথাযথ ভাবে গড়ে তোলা যায়নি, হাব গড়ে তুলতে তেমনই জায়গা দেখা হচ্ছে। কারণ, বহু সময়েই অন্ত:সত্ত্বাকে দূর থেকে হাসপাতালে আসতে হয়। বহু ক্ষেত্রে জায়গাও পাওয়া যায় না। ফলে, প্রত্যন্ত এলাকার অনেকে বাড়িতেই প্রসব করেন। এই প্রবণতা দূর করতেই মেটারনিটি হাবের পরিকল্পনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy