মেহেলিকে আশীর্বাদ মা, বাবা, দাদুর। নিজস্ব চিত্র।
বাবা বন্ধ কারখানার শ্রমিক ছিলেন। মা সাধারণ বধূ। হাজার অভাবের সঙ্গে লড়াই করে সাফল্যের স্বাদ পেলেন শ্রীরামপুরের মেহেলি। রবিবার প্রকাশিত আইএসসি-তে দেশে তৃতীয় হয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
ডানকুনির ভাদুয়ার বাসিন্দা অজিত ও দীপা ঘোষের একমাত্র মেয়ে মেহেলি। পড়েন শ্রীরামপুর হোলি হোম স্কুলে। ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে গোটা দেশে তৃতীয় হয়েছেন মেহেলি। অজিত ডানকুনির একটি ব্যাটারি কারখানায় কাজ করতেন। আগুন লেগে দুর্ঘটনার পর গত এক বছর ধরে সেই কারখানা বন্ধ। বর্তমানে সম্পূর্ণ বেকার তিনি।অজিত জানান, অল্প কিছু চাষের জমি আছে, কখনও গুদামে মজুরি করে সংসার চলে। অনটন আছে তবে মেয়ের পড়াশোনার চালানোর জন্য কোনও দিন আপস করেননি। আজ মেয়ে সাফল্য পেয়েছে, তাই খুশি ঘোষ দম্পতি।
মেহেলি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল পড়তে চাই। কলকাতার কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে থেকে এমবিবিএস করাই আমার লক্ষ্য।’’ বই পড়া, বাগান পরিচর্যা তাঁর অবসরের ভাল লাগা। একটা সময় আঁকতেও ভাল লাগত। যদিও পড়ার চাপে আঁকার খাতা আর খোলা হয় না। ডাক্তার হয়ে মা বাবার দুঃখ দূর করার পাশাপাশি মেহেলি চান গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy