Advertisement
০২ জুন ২০২৪
Music Therapy

বয়স্কদের চিকিৎসায় ইমামবাড়া হাসপাতালে মিউজ়িক থেরাপিও 

চিকিৎসকদেক একাংশের বক্তব্য, সঙ্গীতকে ব্যবহার করে রোগীর মন ভাল রাখার পন্থা নতুন নয়। হাসপাতালে অনেক সময়েই রোগীর একঘেঁয়েমি লাগে।

—প্রতীকী চিত্র।

প্রকাশ পাল
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৩৬
Share: Save:

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের যে ২৭টি জেলা হাসপাতালে বয়স্ক রোগীদের জন্য ‘মিউজ়িক থেরাপি’ চালু হতে যাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে হুগলির ইমামবাড়া জেলা সদর হাসপাতালও। সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের অনেকে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি। তাঁদের বক্তব্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘মিউজ়িক থেরাপি’র গুরুত্ব বাড়ছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এই থেরাপি চালু হয়েছে। সঙ্গীতের তরঙ্গ মানুষের দেহ-মনে সঞ্চারিত হয়ে বিভিন্ন অসুখ থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে। মনের সমস্যা কাটিয়ে তুলতে পারে।

হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জানান, রাজ্যের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই থেরাপির জন্য পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে বয়স্ক রোগীদের জন্য বড় টেলিভিশন ও মিউজ়িক সিস্টেম লাগানো হবে। তাঁর কথায়, ‘‘বিশেষ ধরনের সঙ্গীতে প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি তো হয়ই। এই কারণে ঘুমপাড়ানি গানের কথা বলা হয়।’’ ইমামবাড়া হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের তরফেই মিউজ়িক সিস্টেম এবং টেলিভিশন সেট লাগানো হবে বলে শুনেছি। দরপত্রও ডাকা হয়েছে।’’

চিকিৎসকদেক একাংশের বক্তব্য, সঙ্গীতকে ব্যবহার করে রোগীর মন ভাল রাখার পন্থা নতুন নয়। হাসপাতালে অনেক সময়েই রোগীর একঘেঁয়েমি লাগে। গান শুনলে তা দূর হবে। দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করবে। মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকবেন রোগী।

এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘করোনার সময় গুমোট পরিবেশ হালকা করতে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা গান করছেন, পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢাকা সুরক্ষা-পোশাক পরেই নার্স নাচছেন, এমন ছবি আমরা সমাজমাধ্যমে দেখেছি। তথাকথিত ওষুধ-পথ্যের চিকিৎসার বাইরে এগুলো বিশেষত মানসিক চিন্তা থেকে রোগীকে মুক্তি দেয়।’’

সঙ্গীতের মাধ্যমে রোগ নিরাময় নিয়ে গবেষণা করছেন শ্রীরামপুর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘খুব ভাল সিদ্ধান্ত। সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা গেলে রোগীদের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হবে। সঙ্গীতের তরঙ্গে মনো-দৈহিক (সাইকো-সোমাটিক) উন্নতি হয়। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, টেনশনজনিত অসুখ থেকে অনেকটা মুক্তি দিতে পারে সঙ্গীত। আরও অনেক রোগের নিরাময়ে ভাল ফল মিলতে পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি মনে করি, মিউজ়িক থেরাপির ক্ষেত্রে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বিশেষত পূর্ব ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের জুড়ি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chinsurah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE