নবান্নের সিদ্ধান্ত কে মেনে নেবেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিগুলিকে (প্যাকস) কম্পিউটার-নির্ভর কথা বলা হয়েছে এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে। তার জন্য টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছ’বছর আগেই তারা এ রাজ্যের প্যাকসগুলির আধুনিকীকরণে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্যাকসগুলিকে আধুনিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ হিসাবে কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় বাজেটে যে ভাবে প্যাকসগুলিকে কম্পিউটার-নির্ভর করার কথা বলা হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকাওগুলিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক সে ভাবে পরিষেবা দেয় না। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া হবে সমবায়ের মাধ্যমে। তাঁরই নির্দেশে প্যাকসগুলির আধুনিকীকরণ শুরু হয়েছে।’’
কী বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে?
দেশে প্রায় ৬৬ হাজার প্যাকস আছে। বাজেটে বলা হয়েছে, প্যাকসগুলিতে কম্পিউটার বসানো হবে। ব্যবস্থা করা হবে ইন্টারনেট সংযোগের। নেট ব্যাঙ্কিং ও সিবিএস-এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে প্যাকসগুলিকে। প্যাকসগুলির দৈনন্দিন হিসাব কেন্দ্রীয় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে, হিসাবে স্বচ্ছতা থাকবে। বাজেটে এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা।
তবে, গত বারের বাজেটেই প্যাকস নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে এ বিষয়ে করণীয় রাজ্য সরকারগুলিকে জানিয়ে দেয়। নির্দেশিকায় জানানো হয়,দেশের প্যাকসগুলিকে বিনামূল্যে কম্পিউটার দেওয়া হবে। কর্মীদের দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিটি প্যাকস-কে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই কাজের তদারকি করার জন্য রাজ্য জেলা এবং ব্লক পর্যায়ের কমিটি করতে বলা হয়।
রাজ্য সমবায় দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের প্রায় সাত হাজার প্যাকসের মধ্যে ঝাড়াই-বাছাই করে কারা কম্পিউটার পাওয়ার যোগ্য তার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাজ্য সমবায় দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, কেন্দ্র কয়েকটি শর্ত দিয়েছিল। যে সব প্যাকস সেই সব শর্ত পূরণ করবে তারাই এর আওতায় আসবে। তার ভিত্তিতে রাজ্যের ৯০ শতাংশ প্যাকস প্রকল্পের আওতায় এসে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। কাজের তদারক করার জন্য রাজ্য জেলা ওব্লক পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাজ্যের উদ্যোগে যে সব প্যাকসের আধুনিকীকরণ হয়ে গিয়েছে সেগুলিতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কী ভাবে কাজে লাগানো হবে? মন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ বরাদ্দে প্যাকসগুলির আধুনিকীকরণে আরও বেশি কাজ করা যাবে। তাতে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ আরও বেশি উন্নত পরিষেবা পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy