E-Paper

নেমেছে নদীর জলস্তর, ফের লবণাক্ত জল উলুবেড়িয়ায় 

পুরসভা সূত্রের খবর, নদীর জল মিষ্টি। কিন্তু গরমের সময় যেহেতু নদীর জলস্তর নেমে যায়, তাই জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল অনেক বেশি মাত্রায় নদীতে ঢুকে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৯:৩৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

গরমে হুগলি নদীর জলস্তর নেমেছে গিয়েছে। তার উপর এ বারেও উলুবেড়িয়া ও সংলগ্ন এলাকায় নদীর জল কিছুটা লবণাক্ত হয়ে পড়ায় তার প্রভাব পড়েছে পানীয় জল সরবরাহে।

উলুবেড়িয়া পুরসভার এক কর্তা জানান, গরমে এই সমস্য়া প্রতি বছরই হয়। জগদীশপুরে যে জলশোধন প্রকল্প আছে, সেখানে নদীর জলের লবণাক্ত ভাব কাটানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। পুরসভার জলের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান পারিষদ আকবর শেখ বলেন, ‘‘গরম কমলেই জলের লবণাক্ত স্বাদ কেটে যাবে। এটা কোনও বড় সমস্যা নয়।’’

কেন দেখা দেয় এই সমস্যা?

পুরসভা সূত্রের খবর, নদীর জল মিষ্টি। কিন্তু গরমের সময় যেহেতু নদীর জলস্তর নেমে যায়, তাই জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল অনেক বেশি মাত্রায় নদীতে ঢুকে পড়ে। যেহেতু সমুদ্রের জল লবণাক্ত, তাই নদীর জলও কিছুটা লবণাক্ত হয়ে যায়। অন্য সময়ে যেহেতু নদীর জলস্তর স্বাভাবিক থাকে, তাই জোয়ারে সমুদ্রের জল লবণাক্ত জল ঢুকে পড়লেও তার প্রভাব পড়ে না। তবে, জলস্তর নেমে গেলেও পুর এলাকায় জল সরবরাহে কোনও ঘাটতি দেখা দেয়নি বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। আকবর বলেন, ‘‘আমাদের জলপ্রকল্পে নদী থেকে জল তোলার যন্ত্র অনেক গভীরে বসানো আছে। তাই জলের সমস্যায় আমরা পড়ি না।’’

এ দিকে, এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে প্রয়োজনের থেকে বেশি জল মজুত করে রাখার সমস্যা এখনও দূর করা যায়নি বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুর এলাকার ৭৪ হাজার পরিবারের ৯০ শতাংশেই সরাসরি জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সব পরিবার সরাসরি জলের সংযোগ পেয়েছে, তার একটা বড় অংশই জলের অপব্যবহার করছে বলে পুরসভার অভিযোগ।

পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সব পরিবার প্রয়োজনের থেকে বেশি জল মজুত করছে। এতে কার্যত জলের অপচয় হচ্ছে। মিটার বসিয়ে একটি পরিবার দৈনিক কত লিটার জল ব্যবহার করতে পারবে, তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

কেন এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি পুরসভার কোনও কর্তাই। তবে, অভিজ্ঞতা থেকে একাধিক পুরকর্তা দেখেছেন, যখনই এই চেষ্টা হয়, কোনও না কোনও নির্বাচন চলে আসে। ফলে, আমজনতাকে চটানোর ঝুঁকি আর নেওয়া হয় না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Uluberia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy