Advertisement
০৬ মে ২০২৪
West Bengal Election Commission

পুরভোটে আসন সংরক্ষণের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ হাওড়ায়

২০১০ সালের পরে বালি পুরসভায় ভোট হয়নি। ২০১৩ সালের পর থেকে একই অবস্থা হাওড়া পুরসভাতেও। ভোট না হওয়া বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডকে ২০১৫ সালে হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।

হাওড়া পুরসভার আসন সংরক্ষণের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

হাওড়া পুরসভার আসন সংরক্ষণের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৪
Share: Save:

একসঙ্গেই হতে চলেছে হাওড়া ও বালির পুর নির্বাচন। বালি পুরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ। এখন শুধু হাওড়া পুরসভার আসন সংরক্ষণের কাজ বাকি। সেই কাজও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবারই কমিশনের সেই নির্দেশ হাওড়া জেলা প্রশাসনের কাছে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আসন সংরক্ষণ নিয়ে প্রাথমিক বৈঠকেও বসেন জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা।

২০১০ সালের পরে বালি পুরসভায় ভোট হয়নি। ২০১৩ সালের পর থেকে একই অবস্থা হাওড়া পুরসভাতেও। এর মধ্যে ভোট না হওয়া বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডকে ২০১৫ সালে হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। যার ফলে হাওড়ার মোট ওয়ার্ড বেড়ে হয় ৬৬। ২০২১ সালে ফের বালি পুরসভাকে হাওড়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। তার ফলে বালি পুরসভার ওয়ার্ড-সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫টিতে। এই ভাঙা-গড়ার ঘটনাকে ঘিরে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিবাদের জেরে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া পুরসভার নির্বাচনী প্রক্রিয়া। শেষে চলতি বছরে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করে ৬৬টি করা হবে। সেই মতো গত সেপ্টেম্বরে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হয়েছে। এই পুনর্বিন্যাসের পদ্ধতি নিয়ে বিরোধীদের প্রবল আপত্তি থাকা সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের ওই পদ্ধতিকে মান্যতা দেয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১১ সালে শেষ বার জনগণনা হয়েছিল। তাই কী ভাবে গণনা হয়েছিল এবং কী পদ্ধতিতে এই আসন সংরক্ষণ করা হবে, তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন পাল বলেন, ‘‘আসন সংরক্ষণের বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। নিয়ম মেনে হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা ও তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ করা হবে ২০ শতাংশ আসন, অর্থাৎ ৩৩টি ওয়ার্ড।’’ এ ছাড়াও আরও কয়েকটি ওয়ার্ড তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত করা হবে বলে তিনি জানান।

জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সংরক্ষণের এই কাজ শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলির জন্য তার খসড়া তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। ৪০ থেকে ৪২ দিন ওই খসড়া তালিকা টাঙানো থাকবে। এই সংরক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ওই সময়ের মধ্যে জানাতে পারবে তারা।

অন্য দিকে, বালি পুরসভায় ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ফলে হাওড়া পুরসভার আসন সংরক্ষণের কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ দু’টি পুরসভায় ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Election Commission Howrah Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE