Advertisement
E-Paper

গড়চুমুকু পর্যটনকেন্দ্র ‘লিজ়’, আকর্ষণ বাড়াতে নয়া সাজ

সময়ের মধ্যেই জেলা পরিষদ পর্যটনকেন্দ্রটি লিজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলে। একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সংস্থাটি বছরে ১৮ লক্ষ টাকা করে তাদের দেবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রের খবর।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:২৭
পর্যটনকেন্দ্র সাফসুতরো করার কাজ চলছে। ছবি: সুব্রত জানা

পর্যটনকেন্দ্র সাফসুতরো করার কাজ চলছে। ছবি: সুব্রত জানা

আর শ্যামপুরের গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্ব নিজেদের হাতে রাখছে না হাওড়া জেলা পরিষদ। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে ‘লিজ়’ দেওয়া হচ্ছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারা কেন্দ্রটি ঢেলে সাজাবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে।

দামোদর ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র জেলার অন্যতম নামী বেড়ানোর জায়গা। শুধু হাওড়ার বাসিন্দারাই নন, হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং কলকাতা থেকেও পর্যটকেরা শীতে চড়ুইভাতি করতে আসেন। এখানে জেলা পরিষদের বাংলো আছে। সপ্তাহান্তে আগে ওই বাংলোতে অনেকে এসে থাকতেন। কিন্তু ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাংলোটি বেহাল হয়ে পড়ে। ফলে, প্রত্যাশিত সংখ্যায় পর্যটক আসেন না।

গত দু’বছরে করোনা, আমপান ঝড়— এইসব কারণে পর্যটনকেন্দ্রটি নিয়মিত খোলা হত না। গত প্রায় সাত মাস ধরে এটি বন্ধ আছে। এই সময়ের মধ্যেই জেলা পরিষদ পর্যটনকেন্দ্রটি লিজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলে। একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সংস্থাটি বছরে ১৮ লক্ষ টাকা করে তাদের দেবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রের খবর।

জেলা পরিষদের বন, ভূমি ও পর্যটনের ভারপ্রাপ্ত কর্মাধ্যক্ষ অন্তরা সাহা বলেন, ‘‘পরিষেবার মান আরও উন্নত করতেই এটি লিজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টেন্ডার ডেকে একটি বেসরকারি সংস্থাকে এটি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

এই পর্যটনকেন্দ্রে ঢোকার জন্য পর্যটকদের মাথাপিছু দশ টাকা করে দিতে হয়। সেই টিকিটের দাম বাড়ানো হবে। জেলা পরিষদের এক কর্তা জানান, বেসরকারি সংস্থাটি ওই পর্যটনকেন্দ্রকে ঢেলে সাজাবে। বেশ কিছু বাড়তি পরিষেবা দেওয়া হবে। ফলে, পর্যটকদের আগ্রহ কমবে না।

এই পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে একটি মিনি চিড়িয়াখানাও আছে। সেটিকেও ঢেলে সাজাচ্ছে বন দফতর। মিনি জ়ু থেকে এটি উন্নীত হচ্ছে স্মল জ়ু স্তরে। বাঘ আনার চেষ্টা হচ্ছে এখানে। পর্যটকেরা এই পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে এসে চিড়িয়াখানাও দেখতে পাবেন। তার জন্য অবশ্য আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে।

যে বেসরকারি সংস্থাকে পর্যটনকেন্দ্র ‘লিজ়’ দেওয়া হয়েছে, তারা জানিয়েছে, সাজসজ্জার মধ্যে ক্যাফেটরিয়া করা হবে। জেলা পরিষদের বাংলোটি বাতানুকুল করা হবে। দামোদরে থাকবে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা।

এখানে কয়েকজন স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মী আছেন জেলা পরিষদের। বেসরকারি সংস্থার হাতে ‘লিজ়’ দেওয়া হলেও কারও চাকরি যাবে না বলে জেলা পরিষদের কর্তারা জানিয়েছেন।

Garchumuk beautification
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy