Advertisement
০৫ মে ২০২৪

নির্বাচন অবাধ করতে ১০৬টি বুথে ক্যামেরা

হাওড়ায় ভোট মাত্র একটি পুরসভায়। উলুবেড়িয়ার ৩২টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি এবং বামফ্রন্ট। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু সেই লড়াই যাতে আজ, শনিবার ভোটের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের।

নুরুল আবসার
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৬
Share: Save:

হাওড়ায় ভোট মাত্র একটি পুরসভায়।

উলুবেড়িয়ার ৩২টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি এবং বামফ্রন্ট। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু সেই লড়াই যাতে আজ, শনিবার ভোটের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের।

উলুবেড়িয়ায় মোট বুথ হয়েছে ১৯৩টি। সেখানে ভোট দেবেন ১ লক্ষ ৬৫ হাজার, ৯৪৮ জন ভোটার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৩টির মধ্যে ৭৫টি বুথকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ এবং ১১৮টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ‘অতি স্পর্শকাতর’ এবং ‘স্পর্শকাতর’ মিলিয়ে ১০৬টি বুথে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বিভিন্ন বুথে থাকছেন বন্দুকধারী কনস্টেবল এবং পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরো এলাকাকে ভাগ করা হয়েছে চারটি জোনে। এক-একটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক-এক জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে। চারটি জোনকে আবার ভাগ করা হয়েছে ২২টি সেক্টরে। প্রতিটি সেক্টরের জন্য থাকছেন একজন করে সেক্টর অফিসার। এ ছাড়া ভোটকর্মী থাকছেন ৭৮৮ জন। অতিরিক্ত ভোটকর্মী রাখা হয়েছে ১০০ জনকে। নির্বাচনের দিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কর্তারা। এখন দেখার এই সব ব্যবস্থা কতটা কাজ দেয়।

সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন

উলুবেড়িয়া পুরসভা গঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রথম থেকেই ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। প্রায় ২৭ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে ২০০৯ সালে তারা কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের কাছে পরাজিত হয়। কিন্তু ওই জোট স্থায়ী হয়নি। কে চেয়ারম্যান হবে সেই প্রশ্নে বিবাদ বাধে দু’পক্ষের। তৃণমূলের ক্রস-ভোটিংয়ের জেরে মাত্র ১১ জন কাউন্সিলর নিয়েই বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। তবে, মাত্র এক বছরের মধ্যে কংগ্রেসের সিংহভাগ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন কাউন্সিলরকে ভাঙিয়ে এনে বোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল। এ বার একক ভাবে কোনও দল পুরসভার ক্ষমতা দখল করতে পারে কি না, সেটাই এ বারের নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলে কিন্তু স্পষ্ট ভাবেই দেখা যাচ্ছে ১৮টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। অন্য দিকে যে কংগ্রেস ২০০৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে ১১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল, তারা কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থায় রয়েছে বিজেপি। সাতটি ওয়ার্ডে তারা প্রথম স্থানে রয়েছে। খুব খারাপ অবস্থায় নেই বামফ্রন্টও।

কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কোনও দলই। তৃণমূল নেতাদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের ফলের বিচারে যতগুলি আসনে তাঁরা এগিয়ে ছিলেন, বাস্তবে ফল হবে আরও ভাল। অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ আসনে তাঁরা জেতার আশা করছেন বলে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন না দেখলেও অন্তত ১০টি আসনে জেতার আশা করছে। ক্ষমতায় আসার কথা ভাবছে বিজেপি। অন্য দিকে, বিজেপিকে পিছনে ফেলে তাঁরাই এগিয়ে যাবেন বলে দাবি করছেন বামফ্রন্টের নেতারা। প্রচারে তৃণমূল উন্নয়নকে হাতিয়ার করেছে। বিরোধীরা তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’কে।

এখন দেখার সাধারণ মানুষ কাদের পক্ষে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE