Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Durgapur Expressway

যানজট থেকে মুক্তি নেই অ্যাম্বুল্যান্সেরও

গত কয়েকদিন ধরে রাস্তা মেরামতির কাজ হচ্ছে। তাই এলাকা ধরে কোথাও এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা সময়সীমায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না।

থমকে: ডানকুনির দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের যানজট। ছবি: দীপঙ্কর দে

থমকে: ডানকুনির দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের যানজট। ছবি: দীপঙ্কর দে

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৪০
Share: Save:

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের তীব্র যানজটে জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বালির মাইতিপাড়া সেতু থেকে সিঙ্গুরের বড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা যানজটের কবলে পড়ে। একই ছবি বুধবারেও। গত রবিবার থেকে এই যানজটের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। দূরপাল্লার বাস থেকে সাধারণ যাত্রিবাহী গাড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্সও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে। মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পথ পার হতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। তীব্র গরম আর গাড়িতে জল-খাবার না পেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

ধনেখালি থেকে ওই সড়ক ধরে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন উত্তরপাড়া কোতরংয়ের বাসিন্দা বিজন দাস। তিনি বলেন, ‘‘টোল দিয়ে যাতায়াত করি। ৪০ কিলোমিটার পথ পার হতে আমার সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। এ ভাবে যাতায়াত কি সম্ভব! জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যখন আমাদের থেকে টাকা নিচ্ছেন, তখন পরিষেবা না-দিতে পারলে টোলের টাকা ফেরত দিন।’’জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে রাস্তা মেরামতির কাজ হচ্ছে। তাই এলাকা ধরে কোথাও এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা সময়সীমায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না। রাস্তা চালু রেখেই যে হেতু কাজ হচ্ছে, তাই যানজটে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু রাস্তা মেরামতির কাজ জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছরে বর্ষায় রাস্তার বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এই সমস্যা সাময়িক।

সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চূড়ান্ত হচ্ছে। বালির মাইতিপাড়ায় সেতু সারানোর কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। কাজে গতি নেই। রাস্তা মেরামতির কাজেও দীর্ঘসুত্রিতা রয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই অভিযোগ ফেলনা নয়। যে সংস্থা রাস্তা মেরামত করছে, তাদের আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি নেই। পিচ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তা উঠে যাচ্ছে।’’ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে যে নির্মাণকারী সংস্থা রাস্তা মেরামতে দায়িত্বে আছে, তাদের কাজের মান ভাল নয়। পুলিশ চেষ্টা করছে। কিন্তু ব্যস্ত সময়ে রাস্তা মেরামতের কাজ হলে যানজট সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durgapur Expressway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE