Advertisement
০৪ মে ২০২৪

জট কাটল, রাস্তা শুরু গঙ্গাধরপুরে

স্কুল সূত্রের খবর, শুধু জমি পাওয়া গেলেই হবে না। জমিতে ঢোকার জন্য গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত ঢালাই রাস্তা থাকতে হবে। গঙ্গাধরপুরে ঢালাই রাস্তা ছিল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁচলা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

মাত্র ৭০০ মিটার ঢালাই রাস্তা না থাকায় আটকে যাচ্ছিল ৩০ কোটি টাকার স্কুলভবন নির্মাণের কাজ। শনিবার থেকে শুরু হল সেই ঢালাই রাস্তার কাজ। ফলে এ বার আর গঙ্গাধরপুরে ওই স্কুলভবন তৈরিতে কোনও সমস্যা রইল না বলে দাবি জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তপক্ষের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে স্কুলটি তৈরি শুরু হয়। স্কুলটির জন্য ৩৩ বিঘা জমি দান করেছেন স্থানীয় শিক্ষাবিদ সন্তোষ দাস। শুধু তাই নয়, অস্থায়ীভাবে যাতে পঠন-পাঠন চলে সেজন্য সন্তোষবাবু তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিএড কলেজের একটি অংশও ব্যবহার করতে দেন নবোদয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কথা ছিল যে জমি সন্তোষবাবু দান করেছেন তাতে নিজস্ব ভবন তৈরি করে উঠে যাবে নবোদয় স্কুল। কিন্তু পাঁচ বছরেও নিজস্ব ভবন তৈরি করতে পারেননি নবোদয় কর্তৃপক্ষ।

স্কুল সূত্রের খবর, শুধু জমি পাওয়া গেলেই হবে না। জমিতে ঢোকার জন্য গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত ঢালাই রাস্তা থাকতে হবে। গঙ্গাধরপুরে ঢালাই রাস্তা ছিল না। সেই কারণে ধুলাগড়ি-জুজারশাহা রোডের কালীতলা থেকে স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মিটার রাস্তা পাকা করার জন্য জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে তদ্বির শুরু করেন নবোদয়ের অধ্যক্ষা মৌসুমী নাগ, সন্তোষবাবু, গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়ারা। মমতাদেবী বলেন, ‘‘স্কুলভবন তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ টাকা খরচ করা যাচ্ছে না।’’

এই স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন হয়। অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘জায়গার অভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পঠন-পাঠন করানো যাচ্ছে না।’’ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক। সেচ দফতরের কাছে তদ্বির করে তিনি ৩০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ বের করে আনেন। সেই টাকায় কালীতলা থেকে স্কুল পর্যন্ত ৭০০ মিটার ঢালাই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়। কাজটি করছে সেচ দফতরই।

শনিবার বিধায়ক বলেন, ‘‘দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার জন্য সেচ দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে।’’ সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ২ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে রাস্তার কাজ। মৌসুমীদেবী বলেন, ‘‘রাস্তা তৈরি হচ্ছে শুনেই কেন্দ্র ৬ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে ভবন তৈরির জন্য। রাস্তা তৈরি হয়ে গেলেই ভবন তৈরিতে হাত দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road Construction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE