প্রতিবাদ: রাজনৈতিক ‘সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে সিপিএমের অবস্থান বিক্ষোভ। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া এসডিও অফিসের সামনে। ছবি: সুব্রত জানা
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আগের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তাদের দলের পক্ষ থেকে সব মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে মনোনয়ন জমা দেওয়া একদিন বাড়ানো হয়। আর ২৩ এপ্রিল দেখা গেল, পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই ফের কিছু মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল।
পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৪১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ১০টি আসনে। জেলা পরিষদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩টি আসনে।
বিরোধীদের মধ্যে সব থেকে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে বিজেপির। তারা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তারপরেই রয়েছে সিপিএম। তারা ৫৬টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তৃতীয় স্থানে আছে কংগ্রেস। তারা ২৪টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতিতেও বিজেপি সব থেকে বেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তারা ২৪টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়। সিপিএম এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ১৩টি এবং ১২টি করে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। জেলা পরিষদে বিজেপি ৬টি এবং কংগ্রেস ১টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে জেলার ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৩১টি আসনে মনোনয়নপত্রের দলগত অবস্থান হল তৃণমূল ৩০০৬টি, বিজেপি ১৫৯০টি, সিপিএম ১২৩৬টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১০১টি এবং কংগ্রেস ২৬৩টি।
১৪টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৬২টি আসনে মনোনয়নপত্রের দলগত অবস্থান হল— তৃণমূল ৬৪৫টি, বিজেপি ৩২২টি, সিপিএম ২৯৯টি ফরওয়ার্ড ব্লক ২৬টি এবং কংগ্রেস ৬৭টি।
জেলা পরিষদের ৪০টি আসনে মনোনয়নপত্রের দলগত অবস্থান হল তৃণমূল ৫৪টি, বিজেপি ৪৮টি, সিপিএম ৩২টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ৭টি, সিপিআই ২টি এবং কংগ্রেস ২৭টি।
গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা কেউই যখন এককভাবে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি, তৃণমূলে সেই সংখ্যা আবার অনেকটাই বেশি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বহু আসনে একাধিক প্রার্থী দলের হয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। অভিযোগ, তাঁদের পিছনে আছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মদত। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে তা বোঝা যাবে প্রতীক বণ্টনের দিন অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে। ইতিমধ্যে প্রতীক বণ্টন ঘিরে সাঁকরাইল এবং জগৎবল্লভপুরে গোষ্ঠীকোন্দল চূড়ান্ত আকার নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও তৃণমূলের জেলা সদর সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘কোনও গোলমাল নেই।’’ একই দাবি গ্রামীণ জেলা সভাপতি পুলক রায়েরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy