—ফাইল চিত্র।
কলকাতার মতো বিসর্জনে এ বার ক্রেন ব্যবহার করবে হাওড়া পুরসভা।
তার জন্য তিনটি হাইড্রলিক ক্রেন একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ভাড়াও করা হচ্ছে। প্রতিমা গঙ্গায় বিসর্জনের পরেই ক্রেনে করে তা তুলে এনে রাখা হবে গঙ্গার পাড়ে। পরের দিন সকালে ফের কাঠামোগুলি তুলে লরিতে করে সরিয়ে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মতো গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতর।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, হাওড়ার দিকে গঙ্গার আটটি ঘাটে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে— ফুলতলা ঘাট, বাঁধা ঘাট, ছাতুবাবুর ঘাট, চাউলপট্টি ঘাট, তেলকল ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট, শিবপুর ঘাট ও বি-গার্ডেন ঘাট। এর মধ্যে শিবপুর, রামকৃষ্ণপুর ও ছাতুবাবুর ঘাটে সব থেকে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়। তাই এখানেই হাইড্রলিক ক্রেন রাখা হচ্ছে।
এ ছাড়া, ছট পুজো পর্যন্ত হাওড়ার বালি এলাকার গঙ্গার ঘাটগুলি পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বালিতে যে ঘাটগুলি থেকে বিসর্জন হবে সেগুলি হল— জেটিয়া ঘাট, পঞ্চাননতলা ঘাট, পাঠক ঘাট, কেদার মুখার্জি লেন ঘাট, দেওয়ানগাজি ঘাট, জগন্নাথ ঘাট, মড়াপোড়া ঘাট, লালবাবু সাওয়ার ঘাট, পালঘাট লেন, পুনমচাঁদ বাগাড়িয়া ঘাট।
পুরসভা সূত্রে খবর, বিসর্জনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে জন্য প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দশমী থেকে প্রতিটি ঘাটে থাকবেন পুরসভার সাফাই বিভাগের পদস্থ কর্তারা। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বালির ঘাটগুলি যে হেতু সঙ্কীর্ণ তাই ক্রেন ব্যবহার করা হবে না। পরিবর্তে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে বির্সজনের সময়ে গঙ্গায় পড়া প্রতিমা, ফুল মালা ইত্যাদি তোলা হবে।
হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘হাওড়ায় এই প্রথম বিসর্জনে ক্রেন ব্যবহার করা হবে। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ক্রেন এনে মহড়া দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনের দিনই যাতে গঙ্গা থেকে ফুলমালা তুলে গঙ্গা পরিষ্কার রাখা যায়, সে জন্য ১০০ জনের বেশি ঠিকা কর্মীকে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে নিয়োগ করা হয়েছে।’’
গৌতমবাবু জানিয়েছেন, ঘাটের পাশে যে সব কাঠামো ফুল মালা জমা হবে সেই সব পরিষ্কার করতে আটটি ঘাটে ৮জন ব্যক্তিকে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে ভ্যাট তত্ত্বাবধায়ক রাখা হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে ৫০ টাকায় নিযুক্ত দৈনিক মজুরি কর্মীদের দুপুর ২টো থেকে রাত ২টো পর্যন্ত রাখা হবে। পুরকর্তাদের দাবি, এ বছরও হাওড়ায় সাতশোর বেশি পুজো হচ্ছে। পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাই এ বছর আগে ভাগে বিসর্জনের প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy