ফণীর শঙ্কা। প্রতীকী ছবি।
‘ফণী’র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবারেই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলল হাওড়া জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলার প্রত্যেক বিডিও, পুরসভার প্রতিনিধি এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত (সড়ক), স্বাস্থ্য, সেচ প্রভৃতি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী। ওই বৈঠকেই নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কী রকম প্রস্তুতি নিতে হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝড়বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে পড়তে বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থার পাশাপাশি সম্ভাব্য বিপজ্জনক এলাকা খালি করে মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, শুকনো খাবার ও ত্রিপল মজুত রাখা, পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে দ্রুত ঠিক করা প্রভৃতি ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদেরও তৈরি রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। ঝড় হলে তাঁরা যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন, সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাটির বাড়ি বা কুঁড়েঘরে বসবাসকারীদের স্কুলবাড়িতে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আগাম প্রচার করা হলেও নিজের বাড়ি থেকে অনেকেই সরতে চাইছেন না। তাই, বিপর্যয়ের মুখে পড়লে তাঁদের স্থানান্তরিত করতে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শুক্রবার পরিস্থিতি বুঝে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জেলা প্রশাসনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে।
বুধবার আন্দুল রাজমাঠে নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘‘ফণী আসছে। তার মোকাবিলায় আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কী কী করতে হবে, প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করে নিয়েছি। মানুষ যাতে দুর্ভোগের শিকার না হন তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানান, নবান্ন থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, ফণীর মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে। এতে টাকার অভাব হবে না। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ফণী মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy