দাঁড়িয়ে রয়েছে কিছু ইটের পাঁজা। রাজা রামমোহন রায়ের জন্মভিটের অবস্থা এখন এমনই।
বহু বছর ধরে নানা আশ্বাস মিলেছে। রামমোহন রায়ের নামে তৈরি হয়েছে একাধিক সংগঠন। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে কয়েকটি স্মারক এবং রামমোহন রায়ের নামাঙ্কিত কিছু পার্ক, লাইব্রেরি, হিমঘর ছাড়া তেমন কিছুই হয়নি খানাকুলে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, রামমোহনের হাতে লাগানো আমবাগান এবং তাঁর জন্মস্থানকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হোক। সংরক্ষণ হোক বসতবাড়ির। কিন্তু সেই দাবিগুলি মেটেনি আজও। দিনে দিনে খসে গিয়েছে বসতবাড়ির ছাদ ও দেওয়াল।
সেই ক্ষোভ নিয়েই সোমবার রামমোহন রায়ের জন্মদিন পালন করল খানাকুলের নানা সংগঠন। এ দিন অবশ্য কিছুটা হলেও আশার কথা শুনিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান। তাঁর দাবি, ‘‘রামমোহন রায়ের হাতে তৈরি আমবাগানে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তাঁর নামে মিউজিয়াম করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকার অনুমোদন মিলেছে। বসতবাড়ি সংরক্ষণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’’