প্রায় ১৫টি মাস কেটে গিয়েছে। মেয়র, ডেপুটি মেয়র কিংবা কাউন্সিলরের মতো পদগুলির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই হাওড়া পুরসভার। বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকার সরাসরি কমিশনারের নেতৃত্বে গত একটি বছর পুরসভা চালিয়েছে ঠিকই। কিন্তু পরিষেবা নিয়ে বহু প্রশ্ন এবং অভিযোগ উঠেছে গত একটি বছর ধরেই। ক্ষুব্ধ নাগরিকদের বড় অংশেরই অভিযোগ, মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ গত এক বছরে ঠিক মতো হয়নি। যার জেরে ডেঙ্গির প্রকোপ ওই ভাবে ছড়িয়েছিল। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বোর্ড চালানোর সময়ে কিন্তু তা ঘটেনি।
পুরসভার হিসেবে ২০১৯-এ হাওড়া পুর এলাকাতেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। বিরোধীরা অবশ্য দাবি করেছিলেন যে, শেষ পাঁচ বছর নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার এবং জঞ্জাল অপসারণে ব্যর্থ তৃণমূলের বোর্ডই ডেঙ্গি মোকাবিলার উপযুক্ত পরিকাঠামো হাওড়ায় গড়ে তুলতে পারেনি।
রাজনীতির এই চাপান-উতোরের কথা বাদ রেখেও হাওড়াবাসীদের একটি বড় অংশেরই অভিযোগ, শেষ এক বছরে ডেঙ্গি সেখানে ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। বর্তমান পুর আধিকারিকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা চলতি বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর। কিন্তু বাসিন্দারা সেই দাবিতে ভরসা রাখতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন।