Advertisement
E-Paper

নৌকাবিহার চলল, মদ্যপানও অবাধেই

চলতি বছরে বড়দিনের ঠিক আগের দিনটা রবিবার হওয়ায় সকাল থেকেই গড়চুমুক, ফুলেশ্বর, মহিষরেখা, কোলাঘাট এলাকায় অনেকেই দল বেঁধে চড়ুইভাতি করতে চলে এসেছিলেন। বেশিরভাগ জায়গাতেই তিল ধারণের জায়গা ছিল না বললেই চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৪
নিষেধ উ়ড়িয়ে রবিবার ফুলেশ্বর সেচ বাংলোর সামনে নৌকাবিহার। নিজস্ব চিত্র

নিষেধ উ়ড়িয়ে রবিবার ফুলেশ্বর সেচ বাংলোর সামনে নৌকাবিহার। নিজস্ব চিত্র

আশ্বাস ছিল। কিন্তু কাজ হল কই!

উৎসবের মরসুমে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামীণ হাওড়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে অনেকগুলি বিধি নিষেধ জারি করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। যার মধ্যে ছিল নৌকাবিহার, প্রকাশ্যে মদ খাওয়া, ও ডিজে বাজানো বন্ধ করা। কিন্তু বড়দিনের ঠিক আগের দিন সবগুলিই চলল অবাধে। পুলিশের নজরদারি চোখে পড়ল না বললেই চলে।

চলতি বছরে বড়দিনের ঠিক আগের দিনটা রবিবার হওয়ায় সকাল থেকেই গড়চুমুক, ফুলেশ্বর, মহিষরেখা, কোলাঘাট এলাকায় অনেকেই দল বেঁধে চড়ুইভাতি করতে চলে এসেছিলেন। বেশিরভাগ জায়গাতেই তিল ধারণের জায়গা ছিল না বললেই চলে। ২০০৯ সালে কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদের ধারে চড়ুইভাতির সময়ে নৌকাবিহার করতে গিয়ে শিশু-সহ কয়েকজনের সলিল-সমাধি ঘটেছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্যই এ বার উৎসবের মরসুম শুরুর আগেই নিষেধ জারি করা হয়েছিল।

জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের বৈঠক করে নৌকাবিহার বন্ধের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ডিজে বাজানো এবং প্রকাশ্যে মদ্যপানেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। একই কথা জানিয়েছিল হাওড়া জেলা পরিষদ। কিন্তু কোথায় কী? কোলাঘাট, মহিষরেখা এবং গড়চুমুকে নৌকাবিহার করতে দেখা না গেলেও ফুলেশ্বরে নৌকাবিহার হয়েছে। নৌকাবিহার চলাকালীন সেখানে পুলিশ কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা যায়নি। কয়েকটি জায়গায় ছোট বক্স বাজলেও বেশিরভাগ জায়গাতেই জোরে ডিজে বাজতে দেখা গিয়েছে। একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে প্রকাশ্যে মদ্যপানের দৃশ্য।

শুধু তাই নয়, খাওয়া-দাওয়ার পরে থার্মোকলের থালা, বাটি, প্লাস্টিকের গ্লাস, খাবারের উচ্ছিষ্ট নদীতে ফেলা হয়েছে। এর ফলে মহিষরেখায় যেমন দামোদর দূষিত হয়েছে, তেমনই রূপনারায়ণ এবং গঙ্গা দূষিত হয়েছে কোলাঘাট এবং ফুলেশ্বরে। মহিষরেখায় মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির পক্ষ থেকে নদীতে বর্জ্য না ফেলার আবেদন জানিয়ে কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দুলাল পাল নামে হাওড়া শহরের এক বাসিন্দা বন্ধুদের নিয়ে মহিষরেখায় চড়ুইভাতি করতে এসেছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘বর্জ্য ফেলার আলাদা জায়গা কোথায়? কোনও ভ্যাট নেই। তাই নদীতেই সব কিছু ফেলতে হয়েছে।’’

যদিও নজরদারির অভাবের অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টহলদারি চলেছে। চড়ুইভাতি করতে আসা লোকজনদের মধ্যে বেচাল দেখলেই সাবধান করা হয়েছে।

boating Ganga River alcohol উলুবেড়িয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy