Advertisement
১৯ মে ২০২৪

স্কুলের কাজিয়া মেটাতে আসরে পার্থ

গত কয়েক দিন ধরেই হাওড়ার এই স্কুলে ক্রমশ বেড়েছে গোলমাল। জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ওই স্কুলে বাংলা মাধ্যমের অনুমোদন ছিল। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে থেকে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই হিন্দি মাধ্যমের স্কুল চালানো শুরু হয়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৪
Share: Save:

যে সমস্যাই হোক না কেন, কোনও ভাবেই স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না। হাওড়ার বিনোদিনী বালিকা বিদ্যাভবন বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে রবিবার এ কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ, সোমবারই স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকী প্রয়োজনে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

গত কয়েক দিন ধরেই হাওড়ার এই স্কুলে ক্রমশ বেড়েছে গোলমাল। জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ওই স্কুলে বাংলা মাধ্যমের অনুমোদন ছিল। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে থেকে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই হিন্দি মাধ্যমের স্কুল চালানো শুরু হয়। এ ব্যাপারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানানো হলে তারা গত বছরের জুলাইয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতি ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করে। কিন্তু তিনিও দায়িত্ব নিয়ে স্কুল চালানোর বিষয়ে আপত্তি তোলেন। প্রধান শিক্ষিকা মালিকা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সে সময়ে পড়ুয়াদের কথা ভেবে ঠিক হয়, পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে তাদের অন্য স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। আর হিন্দি মাধ্যম স্কুলটি আদৌ চলবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে পর্ষদ। তার পরেই স্কুল বন্ধের নোটিস দিলে শুক্রবার ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। যদিও মালিকাদেবীর দাবি, গোলমালের জন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে অন্য স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে কথা বলা যাচ্ছে না।

গোলমাল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের একাংশ প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্য শিক্ষিকাদের একটি ঘরে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে আসে হাওড়া থানার পুলিশ। পুলিশের গাড়ি ঘিরেও প্রায় আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। পুলিশ কোনও ভাবে শিক্ষিকাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ির সামনেই বসে পড়েন।

এই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়। এরই মধ্যে রবিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সোমবারের মধ্যেই স্কুল খুলতে হবে। যে সমস্যাই হোক, স্কুল কোনও ভাবে বন্ধ রাখা যাবে না। প্রয়োজনে আমি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’

এ দিন প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘জেলা স্কুল পরিদর্শক আমায় কিছু বলেননি। তিনি যেমন নির্দেশ দেবেন, সেই মতো কাজ হবে।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) নজরুল হক সিপাই বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষিকা কেন স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন, সেটা তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হবে। তবে স্কুল খুলতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE