হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালি পুরসভা সংযুক্ত হওয়ার পরে সেখানকার উন্নয়ন যে কত জরুরি তা বোঝাতে কাজ শুরু করে দিলেন হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী স্বয়ং। শুক্রবার বালিতে তেমনই একটি কাজের সূচনায় এসে তিনি জানালেন, এ বার বালির জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমাণও বা়ড়বে।
আগে বছরে তিন কোটি টাকা বাজেট ছিল বালি পুরসভার। রথীনবাবু জানান, এখন তা বাড়িয়ে দেওয়া হলে উন্নয়নের অনেক কাজ করা সম্ভব হবে।
এ দিন বালিখাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি উদ্যানকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন মেয়র রথীন চক্রবর্তী ও মন্ত্রী অরূপ রায়। বাম আমলে এই উদ্যানটি তৈরি হলেও তা আগাছায় ভরে ছিল। হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) বিভাস হাজরা বলেন, ‘‘বালিখাল থেকে হাওড়ার শুরু। তাই বাসস্ট্যান্ডটি প্রথমে সাজানো হল। এর পরে রাস্তার ধারে আরও ছোট ছোট উদ্যান তৈরি করে সৌন্দর্যায়ন করা হবে।’’
ওই অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘‘এই সংযুক্তিকরণ নিয়ে কিছু লোক কুৎসা রটাচ্ছেন। তার প্রতিবাদ করার জন্যই রাস্তা তৈরি করতে হবে। নিকাশির উন্নয়ন করতে হবে। বালি তার নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকবে।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় বালিতে উন্নয়নের যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে শিল্পপতিদেরও আহ্বান করা হবে এখানে আসার জন্য।
এ দিনের অনুষ্ঠানে হাওড়ার পুর-কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় আরও এক বার জানিয়ে দেন, পুর-পরিষেবা পাওয়ার জন্য বালির বাসিন্দাদের হাওড়া পুরসভার অফিসে কখনওই যেতে হবে না। এর পাশাপাশি রথীনবাবু জানিয়েছেন, কম্পিউটার ও হোয়াট্স অ্যাপের মতো আধুনিক মাধ্যম ব্যবহার করে উন্নত নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার বিষয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তবে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালির সংযুক্তিকরণ হলেও সেখানকার ১৬টি ওয়ার্ডে কবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি (শহর) তথা মন্ত্রী অরূপ রায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন যখন হওয়ার তখনই হবে। তার আগে দরকার বালির উন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় ও নির্দেশে সেটাই শুরু হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy