জলভাসি: জলে ডোবা ভাটোরার ছবি এমনই। নিজস্ব চিত্র
২৫ তারিখ সকালে খবর পেলাম ডিভিসি জল ছাড়ছে। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, গ্রামের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া মুণ্ডেশ্বরীর জল বাড়বে। প্রতি বছরের সমস্যা এটা। ভেবেছিলাম, প্রতিবারের মতো এ বারও দিন কয়েক অসুবিধা হবে। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। আরে, প্রতি বছরের এমন যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে তো গ্রামের রাস্তা থেকে ১০ ফুট উঁচুতে বাড়ি বানিয়েছিলাম। ফলে প্রতি বছর রাস্তা ডুবলেও বাড়ি পর্যন্ত জল ওঠে না।
কিন্তু এ বার যেন সব হিসেব উল্টে গেল! আমার ৪০ বছরের জীবনে এমন দেখিনি। মঙ্গলবার ভোরে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে পানশিউলি গিয়েছিলাম। মুণ্ডেশ্বরীর উপরের বাঁশের যে সাঁকো পেরিয়ে গিয়েছিলাম ফেরার পথে দেখি সেটা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। পাশেই আরও একটা সাঁকো রয়েছে গায়েনপাড়া ঘাটে। সেটা পেরিয়ে আমি বাড়ি ফিরি। আর তারপরই শুনলাম ভেসে গিয়েছে গায়েনপাড়া ঘাটের সাঁকোও। আর হুড়হুড় করে জল ঢ়ুকছে গ্রামে।
প্রথম দিন খুব একটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু বুধবার থেকে বাড়ির একতলাতেও জল ঢ়ুকতে শুরু করে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী আর তিনটে ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে কী করব? কিচ্ছু মাথায় আসছিল না। এখন দোতলায় উঠে কিছুটা থিচু হয়েছি। এমন আমার কখনও অভিজ্ঞতা হয়নি। কয়েক দিনের খাবার মজুত আছে। কিন্তু এতে কতদিন চলবে? সরকারি ত্রাণও আসেনি এখনও। জল কবে নামবে জানি না এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy