Advertisement
০৫ মে ২০২৪

প্রধান শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে ‘বাধা’

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ থাকলেও পরিচালন সমিতির এক সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাধায় কাজে যোগ দিতে পারলেন না প্রধান শিক্ষক। থানায় অভিযোগ করেছেন তারকেশ্বরের বালিগোড়ি অধরমনি দত্ত বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র জানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ০২:০৭
Share: Save:

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ থাকলেও পরিচালন সমিতির এক সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাধায় কাজে যোগ দিতে পারলেন না প্রধান শিক্ষক। থানায় অভিযোগ করেছেন তারকেশ্বরের বালিগোড়ি অধরমনি দত্ত বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র জানা।

স্কুল সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে স্কুলে এসে সুভাষবাবুকে ঘেরাও করেন। মিড-ডে-মিলে দুর্নীতি, টাকা নিয়ে অষ্টম শ্রেণি পাশের শংসাপত্র বিলি করা-সহ নানা অভিযোগ তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে স্কুলের পরিচালন সমিতি। তখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুভাষবাবু। অভিযোগ, এক তৃণমূল নেতার ভাইকে পরিচালন সমিতির সদস্য হিসেবে নেওয়া নিয়ে তিনি আপত্তি তোলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।’’ শিক্ষকদের একাংশের দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পরিচালন সমিতির সভাপতি, বালিগোড়ি ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধ বাধে। তার পরেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে পরিচালন সমিতির তরফে এক শিক্ষককে টিচার-ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

সুভাষবাবুর মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট হুগলি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। জেলা শিক্ষা দফতর তদন্ত করে। তাতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। সুভাষবাবুর অভিযোগ, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আমাকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়। শুক্রবার সকালে স্কুলে গেলে টিচার-ইনচার্জ প্রশান্ত হাটি ফোনে পরিচালন সমিতির সদস্য দীনবন্ধু কোলেকে ডাকেন। দীনবন্ধুবাবু এসে আমাকে হাজিরা খাতায় সই করতে বাধা দেন।’’ শনিবার তিনি স্কুলে যাননি। বললেন, ‘‘যে ভাবে শুক্রবার অপদস্থ হতে হল, তাতে ভয়েই শনিবার স্কুলে যাইনি। প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে যাব।’’ তারকেশ্বরের বিধায়ক রচপাল সিংহকে বিষয়টি জানান সুভাষবাবু। পুলিশ জানায়, প্রয়োজনে সুভাষবাবুর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দীববন্ধুবাবুরা তা দেখতে চাননি। যদিও দীনবন্ধুবাবু দাবি করেন, ‘‘তিনি কোনও কাগজ দেখাননি।’’ আর রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। একটা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Head master
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE