ভুরিভোজ: ইলিশের নানা পদ। নিজস্ব চিত্র
ভাজা থেকে সর্ষে। ভাপা থেকে পাতুড়ি। ইলিশের এমন নানা পদেই রবিবার মজলেন চন্দননগরের প্রাতঃভ্রমণকারীদের একটি সংগঠন। শহরের ষাটোর্ধ্ব যে ব্যক্তিরা প্রতিদিন চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে ভোরে হাঁটেন তাঁদের উদ্যোগেই এই ‘ইলিশ উৎসব’-এর আয়োজন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ইলিশের প্রতি ভালবাসা থেকেই পাঁচ বছর ধরে চলছে এমন ইলিশ উৎসবের আয়োজন।
সপ্তাহ খানেক ধরেই চলছিল অনুষ্ঠানের তোড়জোড়। উদ্যোক্তারা জানান, দিঘা, ডায়মন্ড হারবার এমনকী পদ্মার ইলিশও আনা হয়েছিল। রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় একটি কেটারারকে। রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ সেরেই ক্লাবের প্রায় দেড়শো সদস্য ভিড় জমান এক সদস্যর বাড়িতে। ততক্ষণে এলাকায় ম ম করছে ইলিশের গন্ধ। দুপুর এগারোটা নাগাদ শুরু হয় পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়া।
কি নেই মেনুতে? ইলিশ ভাজা, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ছ্যাঁচড়া, ইলিশ ভাপা, ইলিশের পাতুড়ি, কচুর শাক দিয়ে ইলিশ, ইলিশের-টক এমনই নানা কিছু। শুধু খাওয়া নয়, ছিল ইলিশ নিয়ে ক্যুইজ। লোকগীতির বিষয়ও ছিল ইলিশ। ইলিশের ইতিকথা নিয়ে পুস্তিকাও প্রকাশিত হয়।
ক্লাবের সভাপতি সূর্য মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইলিশ নিয়ে বাঙালির মাতামাতি নতুন নয়। তবে এখন বড় মাছ পাওয়া যায় না। যাতে ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ হয়, সেই বিষয়েও সচেতনতা বাড়াতেও আমাদের এই উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy