Advertisement
০৪ মে ২০২৪

শহরের ঘাটে সাফাই, গ্রামে জলেই পড়ে কাঠামো

হুগলির শহর এলাকার অধিকাংশ প্রতিমা অন্নপূর্ণা ঘাটে এনে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা থেকে প্রায় ১০০ কর্মী ওই ঘাট সাফাইয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।

ভাসান: মশাটের একটি পুকুরে পড়ে রয়েছে কাঠামো। ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।

ভাসান: মশাটের একটি পুকুরে পড়ে রয়েছে কাঠামো। ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
চুঁচুড়া ও উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০১
Share: Save:

কোথাও গঙ্গায় ঘাটে প্রতিমা ভাসানের সঙ্গে সঙ্গেই তুলে ফেলা হচ্ছে কাঠামো। আবার কোথাও পুকুরেই পড়ে রয়েছে ফুল, বেলপাতা এবং কাঠামো।

হুগলির শহর এলাকার অধিকাংশ প্রতিমা অন্নপূর্ণা ঘাটে এনে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা থেকে প্রায় ১০০ কর্মী ওই ঘাট সাফাইয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। ভাসানের পরে তুলে ফেলা হয়েছে কাঠামো। গঙ্গা দূষণ এড়াতে ফুল, বেলপাতা তোলার জন্য আলাদা জায়গা করা হয়েছে। অন্নপূর্ণা ঘাট ছাড়াও চন্দননগরের রানি ঘাট, শেওড়াফুলির প্রিয়দর্শিনী ঘাট, ত্রিশক্তি ঘাট, নিস্তারিণী ঘাট, হাতিশালা ঘাট, শ্রীরামপুরের রায় ঘাটেও প্রতিমার ভাসান হয়। সেই ঘাটগুলিতেও ভাসানের পরে কাঠামো তুলে ফেলা হয়েছে। তবে উত্তরপাড়া পুরসভার দোলতলা ঘাটে এ বার ভাসান সেভাবে হয়নি। কারণ ওই ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থার গোলমাল চলছে। ঘাটটির অবস্থাও ভালো নয়।

হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, সাফাই কর্মীরা দশমীর বিকেল থেকে বিভিন্ন ঘাটে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিসর্জনের পরেই কাঠামোগুলিকে তুলে ফেলা হচ্ছে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে দূষণ রোধের জন্য পুরসভা সচেষ্ট রয়েছে।’’

পুরসভা এলাকায় ঘাটগুলিতে সাফাই কাজ দ্রুততার সঙ্গে হলেও হুগলির গ্রামীণ এলাকায় ছবিটা ছিল অনেকটাই আলাদা। চণ্ডীতলা ২ ব্লকের অধিকাংশ প্রতিমা সরস্বতী নদীতে বিসর্জন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কাঠামো, ফুল, বেলতলা তোলার কোনও ব্যবস্থা চোখে পড়েনি বললেই চলে। হরিপাল, ধনেখালি এলাকার বেশিরভাগ প্রতিমার ভাসান হয়েছে কানা নদীতে। সেখানেও প্রায় একই পরিস্থিতি। রবিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে বেশিরভাগ কাঠামো পড়ে ছিল।

আরামবাগ পুরসভা এলাকাতেও কাঠামো তোলার তৎপরতা চোখে পড়েনি। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুকুর ও নদীর জলে ভেসেছে কাঠামো, ফুল ও বেলপাতা। আরামবাগের পুরপ্রধান স্বপন নন্দী বলেন, ‘‘সাফাই কর্মীরা পুর এলাকার আবর্জনা সাফাই করার পরে কাঠামো তোলার কাজে নেমেছেন। তাই কাঠামো তেলায় একটু দেরি হচ্ছে।’’ সোমবারের মধ্যে কাঠামো তোলার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুর এলাকায় দশমীর দিন হাতেগোনা কয়েকটি বারোয়ারী পুজোর ভাসান হয়েছে। বেশিরভাগ ভাসান হবে আজ, সোমবার। উলুবেড়িয়ায় গঙ্গার ঘাটে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জল থেকে কাঠামো, ফুল, বেলপাতা তোলার দায়িত্বে রয়েছেন প্রশিক্ষিত কর্মীরা। দুর্ঘটনা এ়ড়াতে ডুবুরি থাকছে। গঙ্গার পাড়ে কোনও আবর্জনা ফেলে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘাটগুলিতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। গ্রামীণ হাওড়ায় বাউড়িয়ায় গঙ্গার ঘাটেও অনেক ভাসান হয়। সেখানেও নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। উলুবেড়িয়ার (দক্ষিণ) বিধায়ক পুলক রায় বলেন, ‘‘প্রতি বছরই প্রশাসন ও পুরসভা থেকে বিসর্জন নির্বিঘ্নে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Idol structures Ponds
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE