শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুজরাট রাজ্য ‘মডেল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রবিবার সকালে হুগলির শ্রীরামপুরে বৈদ্যুতিক চুল্লির শিলান্যাস করতে রাজ্যপালের সেই বক্তব্যকে আরএসএস ক্যাডারদের সঙ্গে তুলনা করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার কলকাতার স্বভূমিতে ‘সদাকল গুজরাত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘উন্নয়ন নিয়ে যেখানেই চর্চা হয়, সেখানেই মানুষ গুজরাতের কথা বলে। বিহার মডেল বা উত্তরপ্রদেশ মডেল কেউ বলে না।’’ রাজ্যপালের এই ‘গুজরাত-মডেল’ তত্ত্বে মোটেও খুশি হয়নি তৃণমূল। রবিবার সকালে শ্রীরামপুরের বল্লভপুর শ্মশানঘাটের অনুষ্ঠানে কল্যাণ বলেন, ‘‘আমি আমদাবাদে গিয়ে দেখেছি, সেখানে গরুর গাড়িতে মাল নিয়ে যাওয়াহয়। মাত্র দু’টো প্রকল্প ছাড়া কোনও শিল্প নেই। সেই গুজরাতকে মডেল করতে চাইছেন মাননীয় রাজ্যপাল!’’ তাঁর দাবি, ‘‘কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে কল-কারখানা। কোনও খালি জায়গা নেই।’’
পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে সম্মান করি। আইনজীবী হিসেবেও উনি সম্মানীয়। কিন্তু ওঁর আরএসএস ক্যাডারের মতো কথা বলা উচিত নয় বলেই মনে করি। রাজ্যপালের নিজের এক্তিয়ার সম্পর্কে জানা উচিত।’’ এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার রদবদল প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীরও সমালোচনা করেন কল্যাণ।
শ্রীরামপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বল্লভপুর শ্মশানঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দীর্ঘদিনের। পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ওই প্রকল্প অনুমোদন করে। প্রকল্পটির জন্য খরচ হবে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দিন সেই প্রকল্পেরই শিলান্যাস হয়। একই সঙ্গে চাতরা এলারায় কালীবাবুর শ্মশানঘাটের বৈদ্যুতিক চুল্লি সংস্কার এবং আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হবে। ওই প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। এ দিন ওই প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন সাংসদ। ছিলেন শহরের পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়, উপ-পুরপ্রধান উত্তম নাগ, উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy