Advertisement
১৯ মে ২০২৪
দেখা যাবে কলকাতার রেড রোডে

চন্দননগরের আলোয় কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী

ফি-বছর কলকাতার বহু পুজোকে আলোয় সাজায় চন্দননগর। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রেড রোডও! আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরেই কলকাতার ওই রাজপথ ঝলমল করবে। চন্দননগরের আলোয় তুলে ধরা হবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং পাহাড় থেকে সুন্দরবন।

দম ফেলার ফুরসত নেই শিল্পীদের। চন্দননগরের এক কারখানায়।—নিজস্ব চিত্র।

দম ফেলার ফুরসত নেই শিল্পীদের। চন্দননগরের এক কারখানায়।—নিজস্ব চিত্র।

তাপস ঘোষ
শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share: Save:

ফি-বছর কলকাতার বহু পুজোকে আলোয় সাজায় চন্দননগর। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রেড রোডও!

আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরেই কলকাতার ওই রাজপথ ঝলমল করবে। চন্দননগরের আলোয় তুলে ধরা হবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং পাহাড় থেকে সুন্দরবন। গাড়িতে যেতে যেতে চোখে পড়বে, জঙ্গলের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বা টয় ট্রেন। অন্য দিকে তখন হয়তো আলোয় ‘শিশু সাথী’, ‘কন্যাশ্রী’ বা ‘সবুজ সাথী’র মতো প্রকল্প আলো ছড়াবে। রাজ্য পর্যটন দফতরের এই পরিকল্পনাকেই রূপ দিতে এখন দিনরাত এক করে ফেলছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা।

পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা, এ বার পুজোয় রেড রোডকে চন্দননগরের আলোয় সাজানো হোক। সেই মতোই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

সেই টুনি বাল্বের জমানা থেকেই চন্দননগরের আলোর জগৎজোড়া খ্যাতি। এখন টুনির জায়গা দখল করেছে উজ্জ্বল এলইডি। সেই আলোয় শিল্পীরা ফুটিয়ে তোলেন টাইটানিক জাহাজ থেকে রণতরী, সুন্দরবনের বাঘ থেকে আইফেল টাওয়ার, আরও কত কী! বর্তমানে এ শহরে রয়েছেন অন্তত ১৫০ জন আলোকশিল্পী। তাঁদের কাছে কাজ করেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক।

রেড রোডকে সাজানোর দায়িত্ব পেয়েছেন আলোকশিল্পী বাবু পাল। তিনি জানান, ওই রাস্তায় আলোয় রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি তো থাকছেই, জঙ্গলমহলের মানুষের জীবনযাপন বা পাহাড়ে চা-বাগানের শ্রমিকদের রোজনামচাও বাদ যাচ্ছে না।

পুজোর কলকাতায় চন্দননগরের আলোর হাত ধরে সারা বিশ্ব যেন হাজির হয়! এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বরাহনগরের লোল্যান্ড নেতাজি সঙ্ঘ এ বার চন্দননগরের আলোয় হাজির করছে টাইটানিক, বজরা, ডলফিন, কৃষ্ণলীলা। বজবজের ডিএন ঘোষ রোডের পুজোয় থাকছে মীনাক্ষি মন্দির, আইফেল টাওয়ার, শামুক, কাঁকড়া বিছে এবং চিলের খেলা। বজবজেরই আর একটি পুজোয় থাকছে, ‘ভারতমাতা’। গিরিশ পার্কের পুজোয় দেখা মিলবে ‘অ্যানিমাল পার্ক’। অর্থাৎ, জীবজন্তুর খেলা। এমন উদাহরণ আরও রয়েছে। আলোকশিল্পী তপন ঘোষ বলেন, ‘‘এখানকার আলোয় ছোটরাও যাতে আনন্দ পায়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হয়।’’

আলোয় ভাসবে রাজধানী। রাত জেগে এখন তার আয়োজনে ব্যস্ত চন্দননগরের আলোক-শিল্পীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanyashree sabuj sathi project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE