Advertisement
০৭ মে ২০২৪

মেটেনি কর্মীর অভাব, মডেল হচ্ছে ৪ গ্রন্থাগার

কর্মীর অভাবে হাওড়ার অনেক সরকারি গ্রন্থাগার বন্ধ। অনেকগুলি ধুঁকছে। তবু এরই মধ্যে জেলার চারটি গ্রন্থাগারকে ‘মডেল’ হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য গ্রন্থাগার বিভাগ।

নুরুল আবসার
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৩
Share: Save:

কর্মীর অভাবে হাওড়ার অনেক সরকারি গ্রন্থাগার বন্ধ। অনেকগুলি ধুঁকছে। তবু এরই মধ্যে জেলার চারটি গ্রন্থাগারকে ‘মডেল’ হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য গ্রন্থাগার বিভাগ। এই সিদ্ধান্তকে প্রহসন বলে মনে করছেন জেলা গ্রন্থাগার বিভাগের কর্তাদের একাংশ। তাঁদের মতে, কর্মী নিয়োগের ব্যাপারটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল। প্রথমে সব গ্রন্থাগারগুলি চালু করে তার পরে তাদের মধ্যে যেগুলি সেরা সেগুলিকে ‘মডেল’-এ পরিণত করা যেত। কিন্তু তা হচ্ছে না।

রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, শুধু হাওড়া জেলায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে প্রায় আড়াই হাজার শূন্যপদ রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে ওই পদগুলিতে গ্রন্থাগারিক ও কর্মী নিয়োগ করা হবে। প্রথম পর্যায়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া দু’তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে। হাওড়া জেলায় মোট গ্রন্থাগারের সংখ্যা ১৩৬টি। সমীক্ষা করে তার মধ্যে থেকে যে চারটিকে ‘মডেল’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলি হল— আমতার পানপুর চিত্তরঞ্জন গ্রন্থাগার, ডোমজুড়ের মহিয়াড়ি পাবলিক লাইব্রেরি, বালি-জগাছা ব্লকের বালি পাবলিক লাইব্রেরি এবং হাওড়া জেলা গ্রন্থাগার।

জেলা গ্রন্থাগার বিভাগ সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে ওই চারটি গ্রন্থাগারের এক-একটিকে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় গ্রন্থাগারে পানীয় জল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে। রিডিং-রুমকে আরও উন্নত করা হবে। এ ছাড়াও পরিষেবা সংক্রান্ত আরও কিছু উন্নয়ন ঘটানো হবে। ওই টাকা খরচের পরে গ্রন্থাগারগুলিকে এ বাবদ আরও টাকা দেওয়া হবে। তবে, গ্রন্থাগার বিভাগের এই উদ্যোগ নিয়ে এই দফতরের কর্তাদের একাংশের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের বক্তব্য, জেলায় অন্তত কুড়িটি গ্রন্থাগার লাইব্রেরিয়ান এবং কর্মীর অভাবে পুরোপুরি বন্ধ। একই কারণে আরও কুড়িটি সপ্তাহে মাত্র তিনদিন খোলা হয়। সব মিলিয়ে জেলার সরকারি গ্রন্থাগারগুলিতে ৩৫১টি পদ রয়েছে। অধিকাংশই শূন্য। যে গ্রন্থাগারগুলিকে ‘মডেল’ হিসেবে উন্নীত করার পরিকল্পনা হয়েছে, সেগুলিও কর্মী-সঙ্কটে ভুগছে। পানপুর চিত্তরঞ্জন গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক নেই। মহিয়াড়ি পাবলিক লাইব্রেরিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক নেই। জেলা গ্রন্থাগারেও অনেক পদ শূন্য। ফলে, ওই চারটি ‘মডেল’ গ্রন্থাগারে উন্নীত হলেও গ্রন্থাগারিক বা কর্মী যদি না থাকেন, তা হলে পরিষেবা কে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা গ্রন্থাগার বিভাগের কর্তাদের একাংশ।

আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রও বলেন, ‘‘কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে আমি নিজে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। মডেল গ্রন্থাগার হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু তার আগে বন্ধ গ্রন্থাগারগুলিকে তো চালু করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Model libraries Staffs
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE