Advertisement
০৪ মে ২০২৪
জয়কৃষ্ণ গ্রন্থাগারকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ঘোষণার দাবি
Library

মর্যাদা আদায়ে চিঠি মোদীকে

শান্তশ্রীবাবু বলেন, ‘‘উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ গ্রন্থাগারই হল এশিয়ার প্রথম নিঃশুল্ক গ্রন্থাগার।

গর্ব: উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগার — নিজস্ব চিত্র

গর্ব: উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগার — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:৩৬
Share: Save:

উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগারকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুললেন উত্তরপাড়ার বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও পাঠিয়ে এই দাবির কথা জানানো হয়েছে।

১৮৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই গ্রন্থাগার। সেখানে প্রচুর অমূল্য বই রয়েছে। এমন কিছু বই ও প্রচীন পুঁথিও রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনও গ্রন্থাগারে নেই। এর আগে উত্তরপাড়ার বিশিষ্টজনেরা সভা ডেকে জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগারকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষণা করার একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেই দাবিপত্র পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া না-আসায় ফের প্রধানমন্ত্রীকে ওই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন শ্রীরামপুরের প্রাক্তন বাম সাংসদ শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়।জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগার রাজ্যে সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে বহু যুগ ধরে সম্পৃক্ত। এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়ার দাবিও বহু পুরনো। বিভিন্ন সময়ে বহু বিশিষ্ট মানুষজন জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগারকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় এবং জ্যোতি বসু এই গ্রন্থাগারে এসেছিলেন। গ্রন্থাগারকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন জ্যোতিবাবু। বাম আমলে বিধানসভার শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিও একই আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।

জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগারের প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক স্বাগতা দাস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দায়িত্বে থাকাকালীন আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ওই প্রতিষ্ঠানকে যাতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তার জন্য ওঁকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছিলাম। গ্রন্থাগারে অন্তত ৫৫ হাজার গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে, যেগুলির ল্যামিনেশন করা খুবই জরুরি। তা না-হলে বইগুলি নষ্ট হয়ে যাবে।’’

শান্তশ্রীবাবু বলেন, ‘‘উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ গ্রন্থাগারই হল এশিয়ার প্রথম নিঃশুল্ক গ্রন্থাগার। এই গ্রন্থাগারটিকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বলে ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবি যাতে আদায় করা যায়, তার জন্য রামমোহন রায় ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের কাছেও আমরা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তারপর বিষয়টি খুব একটা এগোয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Library Uttar Para Narendra Modi prime minister
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE