Advertisement
০৪ মে ২০২৪

গুপ্তিপাড়ায় চাঁদার জুলুম, ৩ জন গ্রেফতার রিষড়ায়

দাবি মতো চাঁদা না পেয়ে গুপ্তিপাড়ায় একটি ট্রাকে ভাঙচুর এবং চালককে মারধরের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রিষড়া থেকে তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম সমীর মিশ্র, সুদেব বিশ্বাস এবং পিন্টু বিশ্বাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুপ্তিপাড়া শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share: Save:

দাবি মতো চাঁদা না পেয়ে গুপ্তিপাড়ায় একটি ট্রাকে ভাঙচুর এবং চালককে মারধরের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রিষড়া থেকে তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম সমীর মিশ্র, সুদেব বিশ্বাস এবং পিন্টু বিশ্বাস। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, ধৃত তিন জনই ওই দিন ঘটনাস্থলে ছিল। বুধবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

মঙ্গলবার গুপ্তিপাড়া ২ পঞ্চায়েতের ফতেপুরের ‘আমরা ক’জন’ জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফে অসম লিঙ্ক রোডে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। অভিযোগ, পাটবোঝাই একটি ট্রাকের চালক দাবি মতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পুজো কমিটির সদস্যরা ওই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে ট্রাক চালকেরা মিলে ওই রাজ্য সড়কে অবরোধ করেন। বলাগড় থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। ওই পুজো কমিটির কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রহৃত ট্রাক চালক।

পুলিশের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু তারা গা ঢাকা দেয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সুদেব পিন্টু এবং সমীর রিষার ৩ নম্বর জলট্যাঙ্ক এলাকায় সুদেবের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। বলাগড় থানার ওসি বরুণ মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের এক অফিসার জানান, ধৃতদের মধ্যে দু’জনের নাম এফআইআর-এ রয়েছে। তবে অপর জনও একই সঙ্গে চাঁদা তুলছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জাতীয় সড়কে চাঁদার জুলুম নতুন ঘটনা নয়। তবে, অধিকাংশ সময়েই গাড়ি চালকেরা গোলমালের ভয়ে প্রতিবাদের রাস্তায় যান না। পুলিশের বক্তব্য, চাঁদার জুলুমের অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও সেটাই করা হয়েছে। এর আগে উত্তরপাড়ার কানাইপুরে দাবি মতো চাঁদা না পেয়ে একটি ট্রাকে ভাঙচুর এবং চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে একটি কালীপুজো কমিটির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন স্থানীয় ফাঁড়ির সিভিক স্বেচ্ছাসেবক এবং এক জন কনস্টেবলও রয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চাঁদার জুলুম থেকে নিস্তার পেতে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় ট্রাক মালিকদের একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের কর্তা প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চাঁদার জুলুমে ট্রাক চালক-খালাসিদের অসহায় অবস্থা। এটা বন্ধ করতে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

money extortion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE