শালিমারে নতুন করে কোনও গন্ডগোলের ঘটনা না ঘটলেও শনিবার গোটা এলাকা ছিল থমথমে। ইয়ার্ডের ভিতরে মাল ওঠা নামার কাজ হলেও বাইরের সমস্ত দোকানপাট ছিল বন্ধ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ দিকে এ দিনও পরিবহন ব্যবসায়ী বিনোদ সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের এক জনকেও গ্রেফতার করা যায়নি বলে রেল পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ১০টি গাড়িতে আগুন লাগােনার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
দু’টি পরিবহণ ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলমালের জেরে গত ৬ তারিখ ইয়ার্ডের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও পরিবহণ ব্যবসায়ী বিনয় সিংহের ভাই বিনোদ সিংহ ও ভাগ্নে রাজেশ সিংহ। তাঁদের দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন বাড়ির লোকজন। শুক্রবার সকালে সেখানে মারা যান বিনোদ। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই বেলা সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। একের পর এক ট্রেলারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত দোকানপাট।
বিনোদের খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাঁর পরিবারের লোকজন- সহ এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা রীতিমত ক্ষুব্ধ। একই ভাবে ক্ষুব্ধ শাসক দল তৃণমূলের একাংশও। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তাঁদের অভিযোগ, রেল পুলিশ বা হাওড়া সিটি পুলিশ রহস্যজনক কারণে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করছে না। অভিযুক্তরা অন্য রাজ্যে পালিয়েছে বলে তারা দায় সারছে। অথচ এর আগে অনেক অভিযুক্তকেই অন্য রাজ্য থেকে তুলে আনা হয়েছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকারের উচিত এই খুনের তদন্ত সিআইডিকে দিয়ে করানো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy