Advertisement
E-Paper

অগ্নি-সুরক্ষায় নয়া ব্যবস্থা চুঁচুড়া হাসপাতালে

কয়েক বছর আগে কলকাতার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরেও রাজ্যের অনেক হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৩
সতর্কতা: সিলিংয়ে বসানো হচ্ছে জলের পাইপলাইন। ছবি: তাপস ঘোষ

সতর্কতা: সিলিংয়ে বসানো হচ্ছে জলের পাইপলাইন। ছবি: তাপস ঘোষ

এতদিন আগুন মোকাবিলায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের হাতিয়ার বলতে ছিল কিছু অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র। এ বার অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থায় আমূল বদল ঘটানো হচ্ছে ওই হাসপাতালে। প্রতি ওয়ার্ড-সহ হাসপাতালের সর্বত্র বসানো হচ্ছে জলের পাইপলাইন এবং ‘স্মোক অ্যালার্ম’।

কয়েক বছর আগে কলকাতার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরেও রাজ্যের অনেক হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালও। তবে, এই হাসপাতালে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে আগুন মোকাবিলায় নামতে দেখা গিয়েছে কর্মীদের। কিন্তু হাসপাতালেরই বিভিন্ন এলাকায় জলের জোগান নিয়ে ভুগতে হয় দমকলকে। সেই সমস্যাই মেটাতে চলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে নতুন ব্যবস্থার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। অনুমোদন মেলে। রাজ্য সরকার এক কোটি টাকা মঞ্জুর করে। মাসখানেক ধরে জেলা পূর্ত দফতর ওই কাজ করছে। শীঘ্রই তা শেষ করা হবে।

হাসপাতালের সুপার উজ্জ্বলেন্দুবিকাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা সদর হাসপাতাল হওয়ায় এখানে সব সময় রোগীর চাপ থাকে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বড় ধরনের বিপদ এড়াতেই হাসপাতাল জুড়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডের সিলিং ঘেঁষে পাইপলাইন টানা হচ্ছে। সেই পাইপের মুখও থাকবে প্রতিটি ওয়ার্ডে। যাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় সহজেই নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে জল মেলে। এ জন্য হাসপাতালের পিছনের মাঠে একটি জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখান থেকে পাম্পের সাহায্যে জল সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া হাসপাতালের সর্বত্র বসানো হচ্ছে ‘স্মোক অ্যালার্ম’। ধোঁয়া দেখা গেলেই যা বেজে উঠে সকলকে সতর্ক করবে।

হাসপাতালের এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ রোগী থেকে কর্মীরা। অনিল মাঝি নামে এক রোগী বলেন, ‘‘কাজ চলছে দেখছি। হাসপাতালের প্রতি বিভাগে জলের ব্যবস্থা করাটা খুবই ভাল কাজ। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।’’ হাসপাতাল-কর্মী শুভেন্দুপদ ঘোষ বলেন, ‘‘সব জায়গায় জলের ব্যবস্থা না-থাকায় আগে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তাম। এ বার সহজ হবে।’’

Chunchura Hospital Fire Safety Water Line
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy