সরকার মনোনীত সভাপতি এবং দুই শিক্ষানুরাগী সদস্য অনিচ্ছা প্রকাশ করায় স্কুলে নতুন পরিচালন কমিটি গঠন হয়নি। কোনও প্রশাসকও নিয়োগ হয়নি। এই অবস্থায় খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের কুমারহাট হাইস্কুলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠনও।
পুরনো কমিটির সম্পাদকই স্কুলটি পরিচালনা করছিলেন গত ২২ মার্চ থেকে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। তার পর থেকেই স্কুলের নানা উন্নয়নমূলক কাজে টাকা এসে পড়ে থাকলেও তা তোলা ও খরচ করা যাচ্ছে না। ধার করে জোড়াতালি দিয়ে কোনওরকমে চলছে মিড ডে মিল। স্কুলের বিদ্যুৎ, টেলিফোনের বিল প্রভৃতি যাবতীয় খরচ নিজেদের পকেট থেকেই করছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের এই সমস্যা নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা পরিদর্শক শুক্লা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু স্কুলে (১৪৭টা) নতুন কমিটি গঠন এবং কিছু স্কুলে প্রশাসক নিয়োগের সুপারিশ এসেছে। আমরা সেগুলি বিকাশ ভবনে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অনুমোদন এলেই আর এ সব সমস্যা থাকবে না।’’
স্কুলটি ১৯৫১ সালে তৈরি। সরকারি অনুমোদন মেলে ১৯৫৪ সালে। বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫৫০। সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীর হার ৩০ শতাংশ। তপসিলি ১০ শতাংশ। স্কুল সূত্রে খবর, পরিচালন কমিটির সমস্যা ছাড়াও স্কুলের সমস্যা অনেক। একটি মাত্র করণিকের পদ রয়েছে। তাও ২০১১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ফাঁকা। শিক্ষক-শিক্ষিকার ৩০টিও অনুমোদিত পদের ৮টি শূন্য। কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সংখ্যালঘু ও অনগ্রসরশ্রণির স্কলারশিপ, সবুজ সাথী-সহ সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। সঙ্কটের কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শেখ নাসারুল গাওস বলেন, “একার হাতে সব সামলাতে ছুটিতেও স্কুল আসতে হচ্ছে। যা অবস্থা তাতে যথাযথভাবে স্কুল পরিচালনা করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী গত ২২ মার্চ পরিচালন কমিটি গঠনের দিন ছিল। সরকারি সুপারিশ অনুযায়ী পরিচালন কমিটির সভাপতি সনৎ মাইতি এবং দুই শিক্ষানুরাগী সদস্য রবীন পণ্ডিত এবং রবীন ভট্টাচার্যর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিন জনই শরীর খারাপের কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে চাননি। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই তিনজন দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন। খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘‘পড়াশোনার স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনওরকম গোষ্টীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। আমি ওই স্কুলে নতুন কমিটি করতে বলে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy