শ্রমিক অসন্তোষকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে শনিবার কাজ বন্ধের নোটিস পড়ল ভদ্রেশ্বরের ডালহৌসি চটকলে। এর জেরে বিপাকে পড়লেন প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক। তাঁরা চটকল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে খামখেয়ালিপনা হিসেবেই দেখছেন।
মে দিবসে চটকল ছুটি। সে দিন শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার আগের রাতের শিফটে ‘স্পিনিং’ বিভাগে যে সব শ্রমিক কাজ করবেন, তাঁদের কাজ শেষ হবে সোমবার, মে দিবসের সকালে। তাঁরা কেন বেতন পাবেন না, এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে ওই বিভাগের সব শ্রমিক কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন। ব্যাহত হয় উৎপাদন। এর পরেই শনিবার ভোরে চটকলের গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস দেন কর্তৃপক্ষ।
চটকল কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই কাজ বন্ধে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। চটকলের এক কর্তা বলেন, ‘‘শ্রমিকেরা বেআইনি ভাবে কাজ বন্ধ করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’
পক্ষান্তরে, শ্রমিকদের অভিযোগ, মিল কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনাতেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ‘মে দিবস’ ছুটির দিন হলেও কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো এক দিনের বেতন কেটে শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন ‘স্পিনিং’ বিভাগের কর্মী বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘সামান্য একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে চটকলে তালা মেরে দিলেন। ঘোষিত ছুটির দিনে বেতন কাটার সিদ্ধান্ত অনৈতিক।’’
চন্দননগরের উপ-শ্রম অধিকর্তা আশিস সরকার জানান, চটকল কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে প্রশাসনকে কাজ বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু জানাননি। তাঁদের নিজেদের বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র না মিললে সরকারের তরফে চেষ্টা চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy