Advertisement
১৮ মে ২০২৪

দিঘির মেলার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা

দিঘিরমেলা মানেই সারি সারি পাকা কাঁচকলার পসরা থাকবেই। আরামবাগের ডিহিবয়রা গ্রামের প্রাচীন মেলার এই ঐতিহ্য এখন ফিকে। সে জায়গায় এখন কাঠের দোকানে জমজমাট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৪
Share: Save:

দিঘিরমেলা মানেই সারি সারি পাকা কাঁচকলার পসরা থাকবেই। আরামবাগের ডিহিবয়রা গ্রামের প্রাচীন মেলার এই ঐতিহ্য এখন ফিকে। সে জায়গায় এখন কাঠের দোকানে জমজমাট। খাট, দরজা, জানলা-সহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে প্রায় ২০০টি শুধু কাঠেরই দোকান। বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিমমেদিনীপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলা থেকে আসা ওই কাঠ ব্যবসায়ীরা বললেন, ‘‘ইন্দিরা আবাস যোজনা তথা প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তাদের চাহিদার কথা ভেবেই এই আয়োজন।’’ ৮ দিনের এই মেলা শুরু হয়েছে গত রবিবার।

গল্প-গাথায় জড়িয়ে থাকা গড়বাড়ির রাজা রণজিৎ রায়ের চালু করা ওই মেলার বয়স কেউ জানেন না। রায় পরিবার সূত্রে জানা যায়, দিঘিটির জল এলাকা ১২ একর ৭২ শতক। চারদিকের পাড় এলাকা ১২ একর ৮৪ শতক জায়গা নিয়ে। বছর ৫০ আগে পর্যন্ত দিঘিটির চার পাড় জুড়ে মেলা বসত। পাকা কাঁচকলা এবং জিলিপি ছাড়াও থাকত হাত পাখা, মাদুর, ঝাঁটা, কোদাল, লাঙ্গল, জোয়াল, গরুর গাড়ির চাকা ইত্যাদি যাবতীয় গৃহস্থালি এবং চাষের সরঞ্জাম। মুদিখানার দোকান এবং কাঠের পসরাও থাকত।

দূর-দূরান্ত থেকে গরুর গাড়িতে মানুষজন আসতেন। পাকা কাঁচকলা মুড়িতে মাখিয়ে খাওয়া এবং মেলা থেকে সারা বছরের মুদিখানার শুকনো লঙ্কা, গোটা হলুদ, জিরে, ধনে, পোস্ত, ডাল ও কলাই কিনে নিয়ে গরুর গাড়িতে ফিরে যেতেন মানুষজন। মেলার ট্রাস্টি তথা রায় পরিবারের বর্তমান ২৮টি শরিক। তাদের পক্ষে পলাশ রায় বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলার রূপও বদল হচ্ছে। তবে ঐতিহ্যগুলি যাতে বজায় থাকে সেই দিকেও নজর রাখছি আমরা। এ বার জেলার নির্মল অবস্থা বজায় রাখতে মেলা ক্ষেত্রে ৬টি শৌচাগার করে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh fair
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE