তৃষা কর্মকার। নিজস্ব চিত্র
অভাবকে হারিয়ে নিজের চেষ্টায় উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হয়েছে ব্যান্ডেলের তৃষা। হুগলি গার্লস স্কুল থেকে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের তৃষা কর্মকারের প্রাপ্ত নম্বর ৪২১।
বাবা দীপক কর্মকার চুঁচুড়ার এক সোনার দোকানের কর্মচারী। মাসীমা কর্মকার পরিচারিকার কাজ করেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। অভাবের সংসারে দুই মেয়েকে পড়াশোনা করানো দীপকবাবুর পক্ষে সহজ ছিল না। তবু কর্মকার দম্পতি বরাবর চেয়েছেন, মেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াক। বাবা-মায়ের লড়াইয়ের জেদ ছড়িয়েছে মেয়ের মধ্যেও। বরাবরই স্কুলে ভাল ফল করে সে। মেধাবী তৃষাকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন তিন জন। কোনও টাকা-পয়সা নিতেন না। তৃষার ইচ্ছা ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়াশুনা করার। কিন্তু বাধ সাধছে আর্থিক সঙ্কট। নিজের ইচ্ছা থাকলেও পিছুটান সেই অভাবের।
তৃষার বাবা দীপকবাবুর কথায়, ‘‘মেয়ের ইচ্ছা আরও পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসারের হাল ধরুক। কিন্তু এমন অভাবের সংসারে সেটা হবে কি না সন্দেহ আছে।’’ আর তৃষার কথায়, ‘‘অনেক বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি। নিশ্চয় একটা কিছু উপায় হবে। সহজে হাল ছাড়ি না আমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy