Advertisement
২০ মে ২০২৪

তৃষার স্বপ্নের পথে বাধা অভাব

বাবা দীপক কর্মকার চুঁচুড়ার এক সোনার দোকানের কর্মচারী। মাসীমা কর্মকার পরিচারিকার কাজ করেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।

তৃষা কর্মকার। নিজস্ব চিত্র

তৃষা কর্মকার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ১২:৫২
Share: Save:

অভাবকে হারিয়ে নিজের চেষ্টায় উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হয়েছে ব্যান্ডেলের তৃষা। হুগলি গার্লস স্কুল থেকে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের তৃষা কর্মকারের প্রাপ্ত নম্বর ৪২১।

বাবা দীপক কর্মকার চুঁচুড়ার এক সোনার দোকানের কর্মচারী। মাসীমা কর্মকার পরিচারিকার কাজ করেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। অভাবের সংসারে দুই মেয়েকে পড়াশোনা করানো দীপকবাবুর পক্ষে সহজ ছিল না। তবু কর্মকার দম্পতি বরাবর চেয়েছেন, মেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াক। বাবা-মায়ের লড়াইয়ের জেদ ছড়িয়েছে মেয়ের মধ্যেও। বরাবরই স্কুলে ভাল ফল করে সে। মেধাবী তৃষাকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন তিন জন। কোনও টাকা-পয়সা নিতেন না। তৃষার ইচ্ছা ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়াশুনা করার। কিন্তু বাধ সাধছে আর্থিক সঙ্কট। নিজের ইচ্ছা থাকলেও পিছুটান সেই অভাবের।

তৃষার বাবা দীপকবাবুর কথায়, ‘‘মেয়ের ইচ্ছা আরও পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসারের হাল ধরুক। কিন্তু এমন অভাবের সংসারে সেটা হবে কি না সন্দেহ আছে।’’ আর তৃষার কথায়, ‘‘অনেক বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি। নিশ্চয় একটা কিছু উপায় হবে। সহজে হাল ছাড়ি না আমি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trisha Karmakar proverty Student Paucity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE