Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে পূজা

পূজার জন্য আগে থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের একতলায় আলাদা ঘরে ফোল্ডিং বিছানার ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ। সকাল ১১টা নাগাদ স্কুলে পৌঁছয় পূজা। তার সঙ্গে আসেন বাবা রাকেশ ঘোষ, মা সুমিত্রা ঘোষ ও দাদু বিল্বেশ্বর ঘোষ।

অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামছে পূজা ঘোষ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামছে পূজা ঘোষ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
yenf শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:১২
Share: Save:

সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছল বালির পূজা ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে বালি শিক্ষানিকেতন বালিকা বিদ্যালয়ে আসে ওই ছাত্রী। পরীক্ষা শেষে জানায়, ‘‘বাংলা পরীক্ষা ভাল ভাবেই দিতে পেরেছি।’’

পূজার জন্য আগে থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের একতলায় আলাদা ঘরে ফোল্ডিং বিছানার ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ। সকাল ১১টা নাগাদ স্কুলে পৌঁছয় পূজা। তার সঙ্গে আসেন বাবা রাকেশ ঘোষ, মা সুমিত্রা ঘোষ ও দাদু বিল্বেশ্বর ঘোষ। রাকেশবাবু বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে আসব। কিন্তু সোমবার রাতে এক প্রতিবেশী জানান, স্থানীয় বিধায়ক অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছেন। তাতে করেই রোজ আসবে পূজা।’’

এ দিন শিক্ষানিকেতনে এসে পূজার খোঁজ নেন বালি-বেলুড় পরীক্ষা কেন্দ্রের সম্পাদক ও বালি থানার ওসি। শিক্ষানিকেতনের পরিচালন সমিতির সভাপতি সনাতন গোস্বামী বলেন, ‘‘ছাত্রীটির কোনও অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসককেও বলা রয়েছে।’’ শিক্ষানিকেতনের টিচার-ইন-চার্জ শম্পা মণ্ডল জানান, এক পরীক্ষককে পূজার ঘরের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। বেলা ১২টায় পরীক্ষা শুরু হতেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেন সুমিত্রাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েকে বোঝাতাম, মন খারাপ করিস না। এ বছর যদি পরীক্ষা দিতে না পারিস, তা হলে পরের বার দিবি। কিন্তু মেয়ের জেদ ছিল এ বারেই পরীক্ষা দেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik Pariksha Ambulance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE