মিলেমিশে: খুদেদের সঙ্গে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
এক ঝাঁক কচিকাঁচা ঘিরে বসে রয়েছে এক ব্যক্তিকে। মাথায় সান্তার লাল টুপি পরে কচিকাঁচাদের হাতে চকোলেট, কেক আর খেলনা ভরা ব্যাগ তুলে দিচ্ছেন সেই ব্যক্তি। কখনও আবার কোলে তুলে নিচ্ছেন কোনও খুদেকে।
সাতসমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে শহরে সান্তা বুড়ো আসার বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগেই রবিবার সকালে বালির নিশ্চিন্দা অঞ্চলের মধ্য জয়পুর বিলের খ্রিস্টান পাড়া এলাকার কচিকাঁচাদের হাতে সান্তার আগাম উপহার তুলে দিয়ে তাদের নিয়ে হইচই করে সারাটা দিন কাটালেন সেচমন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সামনেই বড়দিন। প্রতি বছরই বিভিন্ন জায়গায় এমন ভাবে বড়দিন উৎসব পালন করি। আজ থেকে সেটাই শুরু করলাম।’’
এ দিন সকাল থেকেই সেজে উঠেছিল খ্রিস্টান পাড়া। সকাল থেকেই বারবার করে বাড়ির বড়দের কাছে খুদেদের প্রশ্ন ছিল, ‘‘কখন আসবে সান্তাক্লজ?’ ঘড়ির কাঁটায় ১১টা বাজতেই সেখানে হাজির হলেন রাজীববাবু। সঙ্গে হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ দে। গাড়ি থেকে নেমেই লাল-সাদা সান্তার টুপি পরে প্রায় ২০০ শিশুর মাঝে হাজির হলেন মন্ত্রী। নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে তিনিই তখন সান্তাক্লজের ভূমিকায়। এক এক করে মধ্যবিত্ত, দরিদ্র শিশুদের হাতে তুলে দিলেন উপহার। এরপরে কখনও ফুটবল, কখনও পুতুল খেলারও সঙ্গী হলেন। ‘জিঙ্গল বেল’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হইচই করলেন মন্ত্রী ও শিশুরা।
দুপুর হতেই পাড়ার মাঠে পাত পড়ল শিশুদের জন্য। মেনুতে ভাত, ডাল, আলুভাজা, মাংস, চাটনি, মিষ্টি। এলাকার যুবকদের সঙ্গে পরিবেশনে হাত লাগালেন রাজীববাবুও। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী থেকে সহকারী— সকলেই মাতলেন একই কাজে। রীতিমতো মন্ত্রীর তদারকিতে শেষ হল মধ্যাহ্নভোজ। শেষ পর্বে বাচ্চাদের সঙ্গে গ্রুপ ছবি তুললেন মন্ত্রী।
যাওয়ার সময় ‘সান্তা’ রাজীব বললেন, ‘‘আবার আসব, আসছে বছর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy